সদ্য সরকারিকৃত ৯৫টি কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। এক বছর থেকে আট বছর পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় কলেজগুলোতে শিক্ষার মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। ব্যহত হচ্ছে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে কয়েকটি কলেজে সিনিয়র শিক্ষকরা নামকাওয়াস্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাজ চালাচ্ছেন। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারি করার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২৯৬টি কলেজ সরকারি করেছে সরকার। গত ১১ অক্টোবর ৩টি, ৯ অক্টোবর ৩টি, ১২ সেপ্টেম্বর ১৪টি, ২৭ আগস্ট ৫টি এবং ১২ আগস্ট ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৯৬টি কলেজের মধ্যে ৯২টিতে অধ্যক্ষ নেই। অধ্যক্ষ ছাড়া বিপর্যস্ত কলেজগুলোর অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা হাবিবুর রহমানের মতে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় জামাত-বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের মামলা-মোকদ্দমা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার অসহযোগীতায় সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি ও পদসৃজনে অসম্ভব দেরি হয়েছে ও হচ্ছে। কয়েকটি কলেজের বেসরকারি আমল থেকে মামলাজনিত কারণে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এসব কলেজে সাময়িকভাবে ডেপুটেশনে শিক্ষা ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দেয়া যায়।