জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও কোর্স পরিচালকের কক্ষ দখলের অভিযোগ উঠেছে ইনস্টিটিউটের চলতি দায়িত্বে থাকা আরেক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর নাম ডা. অমল কুমার চৌধুরী আর অভিযুক্তের নাম ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু।
জানা গেছে, গতকাল রোববার ডা. অমলের কক্ষের তালা ভেঙে এবং নামফলক ফেলে দিয়ে নিজের নামফলক লাগান ডা. মাহবুব।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ৩৩৪ নম্বর কক্ষটি প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ। যিনি হাসপাতালের ২নং ইউনিটের প্রধান এবং একই সঙ্গে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোর্স পরিচালকের দায়িত্বে থাকেন। অধ্যাপক অমল দীর্ঘদিন এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি অবসরোত্তর ছুটিতে গেলেও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি সরকার তার চাকরির মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়েছে বলেও জানানো হয়েছে তাকে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি। অধ্যাপক অমল অবসরে গেলেও আরো পাঁচ জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হাসপাতালটিতে কর্মরত। ফলে এই কক্ষটি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই বরাদ্দ হওয়ার কথা। ডা. মাহবুবুর রহমান ৮নং ইউনিটের দায়িত্বে, তার এই কক্ষ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক অমল চৌধুরী বলেন, গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজে একটি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম। সে সময় অফিস সহকারী ফোন করে রুম দখলের বিষয়টি জানায়। ডা. মাহবুব আমার ছাত্র। সে রুমের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়েছে, এমনকি আমার নামফলক সরিয়ে নিজের নামফলক লাগিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ৩৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানে আছি। এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত গর্হিত ও শাস্তিযোগ্য। অভিযোগের বিষয়ে ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি কোনো রুম দখল করিনি। স্যার দুই থেকে আড়াই মাস আগে অবসরে গেছেন। তারপরও তার দখলেই ওই রুম ছিল। আজও দুপুর ৩টা পর্যন্ত ছিলেন। আমি তো মেডিকেল অফিসারের রুমে বসি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয়ে সভায় ছিলাম। রুম দখলের বিষয়টি পরে জেনেছি। একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের রুমের তালা ভাঙা দুঃখজনক। কারণ কক্ষটি এখনো কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।