এসিআর যাচাই-বাছাই হয়নি। তালিকাও চূড়ান্ত হয়নি। তবু তড়িঘড়ি সরকারি কলেজের অধ্যাপক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা আহ্বান করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সভা আহ্বান করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের অধিকাংশ অস্থিরতার নেপথ্য কারিগর মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব।
শিক্ষা প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, তড়িঘড়ি ডিপিসির সভা আহ্বানের নেপথ্যে দুই হিসেব। এক. সেপ্টেম্বর মাসের ত্রিশ তারিখের মধ্যেই পদোন্নতি দিয়ে লোভনীয় পদগুলোতে পদায়ন দিয়ে আখের গোছানো। জানা যায়, ডিআইএ, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পরিচালক, কয়েকটি প্রকল্প ও লাভজনক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দেয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা গোপন তালিকাটি রয়েছে সেই বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিবের হাতেই। দুই. রসহস্যজনক কারণে গুলিবিদ্ধ হওয়া বিসিএস শিক্ষা সমিতির একজন নেতার অধ্যাপক পদোন্নতি দেয়া। মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির ওই মহাসচিবসহ কয়েকজন পদোন্নতি পেলে ফের সমিতির নির্বাচন করতে পারবেন।
শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, অধ্যাপক পদে সর্বোচ্চ তিনশজনক পদোন্নতি দেয়া সম্ভব। তবে, বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা আহ্বান করতে কমপক্ষে ১০/১২ দিন সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকাভুক্ত সহযোগী অধ্যাপকদের এসিআর যাচাই-বাছাই করতে হবে। এছাড়া পদোন্নতি দিলে ফের ‘মৃতরাও’ পদোন্নতি পেতে পারেন।