আগামী দুই সপ্তাহ দেশের স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতে অনলাইনে ক্লাস চালানোর চিন্তা করছে ববি প্রশাসন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হোক তা চান না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ববির শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। চলমান ফাইনাল পরীক্ষাগুলো শেষ করার দিকে তারা জোড় দিয়েছেন।
ববির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনেক বিভাগের সেশনজট আছে। আবার অনেকের পরীক্ষা চলছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন কিংবা সশরীরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকুক। এ সকল বিষয়ে মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের অনুরোধ রাখবে বলে আমরা আশারাখি।’
আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘আমাদের বিভাগে সেশনজট আছে। আবার করোনায় দেড় বছর প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো যা অনেক পিছিয়ে। এবার একাডেমিক কার্যক্রম ও ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে বা সশরীরের না নিলে আমাদের জীবনবিপন্ন। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ শিক্ষার কার্যক্রম ও পরীক্ষাগুলো যাতে চলমান রাখেন।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, 'বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকবে। আমরা ভাবছি সশরীরে পাঠদান বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালাতে। তাছাড়া হলগুলো খোলা রেখে চলমান পরীক্ষাগুলো যেনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া হয় সে বিষয়ে কথা বলবো। একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তের ওপর এসব কিছু নির্ভর করছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকের পরীক্ষা আছে , হঠাৎ করে বন্ধ করলে তারা সমস্যায় পড়তে পারে। যে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক না কেনো শিক্ষার্থীদের জন্য যেটি ভালো হয় সেই সিদ্ধান্তই নেবো।