অনলাইনে মাদরাসা প্রভাষকদের পদোন্নতির আবেদন শুরু

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বিভিন্ন এমপিওভুক্ত মাদরাসার প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আবেদন মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে গ্রহণ শুরু করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাদরাসার প্রভাষকদের পদোন্নতি পেতে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। গত অক্টোবরে ম্যানুয়ালি পদোন্নতির আবেদন করার নির্দেশ দেয়ার পর যেসব প্রভাষক হার্ডকপিতে আবেদন করেছিলেন, তাদেরও অনলাইনে ফের পদোন্নতির আবেদন করতে হবে।

গতকাল সোমবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানিয়ে সব আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসার প্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছে মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রভাষকদের পদোন্নতির আবেদন ফরম প্রকাশ করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কামিল ও ফাযিল মাদরাসার প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক ও আলিম মাদরাসার প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতি পেতে আবেদন কাগজপত্রসহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে করতে হবে। পদোন্নতির আবেদনে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা যাবে না। যারা ইতোপূর্বে হার্ডকপিতে আবেদন করেছেন তাদেরও অনলাইনে আবেদন করতে হবে। 

জানা গেছে, নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরমের নির্ধারিত স্থানে সভাপতি ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও নাম, পাদবী, মোবাইল নম্বর উল্লেখ ও সিল থাকতে হবে। সভাপতির প্রতিস্বাক্ষরসহ অধ্যক্ষের ফরোয়ার্ডিং আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হলে, কোনো কমিটি না থাকলে জেলা সদরের মাদরাসার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং জেলা সদরের বাইরের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিস্বাক্ষর করবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ফরোয়ার্ডিং আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ ও নম্বরপত্র ও অন্যান্য সনদপত্রের সত্যায়িত কপি, নিয়োগপত্র ও যোগদান পত্রের সত্যায়িত কপি, পদোন্নতির জন্য আবেদনকারীর প্রথম, বিভিন্ন স্কেল বা গ্রেডপ্রাপ্তির ও সর্বশেষ এমপিওর কপি আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।

এছাড়া মাদরাসায় কর্মরত সব সহকারী অধ্যাপক বা জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং প্রভাষকের যোগদানের তারিখ ও এমপিওভুক্তির তারিখ উল্লেখসহ তালিকা আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

আর মাদরাসার প্রথম ও সর্বশেষ এমপিওর কপি, প্রভাষকদের গবেষণাকর্ম বা স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিক প্রবন্ধের কপি, সর্বশেষ স্বীকৃতি, অধিভুক্তির কপি, তা না থাকলে হালনাগাদকরণের আবেদন দাখিলের প্রমাণক, বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া সর্বশেষ গভর্নিং বডির অনুমোদনপত্র, পদোন্নতির জন্য গভর্নিং বডির সুপারিশ সম্বলিত রেজুলেশন আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। 

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কামিল, ফাযিল ও আলিম মাদরাসার এমপিভুক্ত প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির আবেদন এমপিওর আবেদনের সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর মাদরাসার প্রভাষকদের পদোন্নতির আবেদন ম্যানুয়ালি দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার অনলাইনে মেমিসের মাধ্যমে পদোন্নতির আবেদন করার নির্দেশ দেয়া হলো।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য মাদরাসার প্রভাষকদের পদোন্নতির আবেদন ফরমটি তুলে ধরা হলো। 

পদোন্নিতর ফরম দেখতে ক্লিক করুন

জানা গেছে, সর্বশেষ সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে মাদরাসার প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটি আলিম মাদরাসার প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও কামিল বা ফাজিল মাদরাসার প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করবে। সুপারিশ অনুযায়ী মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের পদোন্নতির আদেশ জারি করবে। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। 

এ কমিটি বেসরকারি মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে কমিটি বেসরকারি মাদরাসার এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ, প্রজ্ঞাপন, পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে। কমিটি আলিম মাদরাসার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং ফাযিল ও কামিল মাদরাসার ক্ষেত্রে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করবেন। সে সুপারিশের প্রেক্ষিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর পদোন্নতির আদেশ জারি করবে। 

বেসরকারি মাদরাসার এমপি নীতিমালার আলোকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হবে। যেসব বিষয় মাদরাসা প্রভাষকদের পদোন্নতিতে বিবেচনা হবে তা হলো, এমপিও প্রাপ্তি থেকে জ্যেষ্ঠতা, এমপিওভুক্তি একই তারিখ হওয়ায় ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ, যোগদানের তারিখ একই হওয়ার ক্ষেত্রে জন্মতারিখ, জন্মতারিখ একই হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, উচ্চতর ডিগ্রি (বিএড, এমএড, এমফিল, পিএইচডি), গবেষণাকর্ম বা স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ, পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলা চলমান আছে কিনা এবং নৈতিক স্খলন বা অন্য কোনো কারণে সাময়িক বরখাস্ত আছেন কিনা। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027151107788086