ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, এক বছরের বেশি সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার জোড়াতালি দিয়ে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করলেও কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। গতকাল আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায় এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, সত্যিকার অর্থেই যদি লেখাপড়ার মাধ্যমকে আমরা ডিজিটাল করতে পারতাম, অনলাইন ক্লাস উপযোগী ডিভাইস শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া যেত এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ মনিটরিং নিশ্চিত করা যেত, তবে করোনার কারণে শিক্ষার বিপর্যয় অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যেত। তাহলে ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই যথাযথভাবে পাঠগ্রহণ করতে পারত। ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনার যে বিপর্যয় বর্তমানে নেমে এসেছে এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চিন্তাও করা যায় না।
কারণ, আগে জীবন, তারপরে পড়াশোনা। তিনি বলেন, করোনার কারণে গত বছর অটোপ্রমোশন দেওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই এ বছর আর অটোপাস বা অটো প্রমোশন দেওয়ার সুযোগ নেই। করোনা সংক্রমণ যখন কমে আসবে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে লেখাপড়া এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালাতে হবে যেন ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।