নলছিটি উপজেলার খাগড়াখানা রহমআলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের স্লিপমানি ও সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার ঘটনায় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়। অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে জেলা প্রাথামিক শিক্ষা বিভাগ প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে। বিধিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতির জবাব চেয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, স্লিপমানি ও সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ নিজ বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করাসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে অন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে অভিভাবকরা ১০ জুলাই বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই বিদ্যালয়ে তদন্তে যান জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। এ সময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের দায়ের করা সব অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত দল। অনিয়ম ও দুর্নীতির কৈফিয়ত তলব করে প্রধান শিক্ষককে একটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। এতে তদন্তকারী দল উল্লেখ করে- পরিদর্শনের দিন প্রধান শিক্ষক ছুটি ব্যতীত বিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান করছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ভর্তির সময় টাকা নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষক স্লিপ বরাদ্দের ৫০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকার কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাত দেখাতে পারেননি।
প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাকে শোকজ করা হয়েছে। আমি শোকজের জবাব সময়মতো দিয়ে দেব। আমি কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করিনি। সব অভিযোগই মিথ্যা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, তদন্ত দল একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে শোকজ করেছি।