অনিয়ম: বিদেশ সফরে শিক্ষা ভবনের শাহেদুল খবির, ফারহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিদেশ সফরের নিয়ম মানছেন না মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো: শাহেদুল খবির, একই দপ্তরের সহকারি পরিচালক ( বেসরকারি কলেজ) ফারহানাসহ অনেকে। শাহেদুল খবির বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরেই চীন সফরে যাবেন তিনি। অপরদিকে গত মে ও জুন মাসে প্রায় দেড় মাস দুটি দেশ সফরে ছিলেন ফারহানা। বেসরকারি কলেজ শাখায় ‍ফাইলের স্তুুপ জমে যায় এ সময়। বিসিএস ২৪ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। পরপর দুটি দেশ সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে সিটে পাওয়া যায়নি। তার কর্মচারীরা বলেছেন, ‘ম্যাডাম মন্ত্রণালয়ে।’ 

জানা যায়, শিক্ষা নিয়ে উদ্ভাবনীমূলক (ইনোভেশন) কাজে বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে পারা শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত একটি সরকারি শিক্ষা সফরে চীন যাচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ৯ জন কর্মকর্তা। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের শেষে চীন যাত্রা করবেন তারা। এ দলে রয়েছেন ভিকারুননিসার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো: শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ আটজন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন গবেষণা কর্মকর্তা বলেন, অধিদপ্তরে উদ্ভাবনীমূলক কাজ তদারক করার জন্য একটি টিমে মোট ১০ কর্মকর্তা রয়েছেন সেখানে। পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এ কমিটির আহ্বায়ক এবং সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ-২) সদস্য সচিব। মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী ইনোভেশন টিমের সদস্য নন। তবুও এ সফরে যাচ্ছেন তিনি।

সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, শিক্ষাখাতে উদ্ভাবনীমূলক কাজের জন্য শেষ হওয়া অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় মোট দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। অর্থবছর শেষ হয়ে গেলেও মাউশি এখন পর্যন্ত এ খাতের মাত্র ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পেরেছে। গত ২৯ এপ্রিল এই খাতের অর্থছাড় করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২৮ মে মহা-হিসাবরক্ষকের অফিস থেকে চেক পায় মাউশি। উদ্ভাবনের এই কাজে উদ্ভাবকদের জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, আইডিয়া উপস্থাপনসহ ইনোভেশনের বাকি সব কাজ বাদ দিয়ে মাউশির কতিপয় কর্মকর্তা কেবল বিদেশ সফর নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। 

অধিদপ্তরের এই গবেষণা কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনও কোনও কর্মকর্তা ক’দিন পরপরই বিদেশ সফর করেন আর আমাদের নাম দিয়েও আবার বাদ দেয়া হয়। 

তবে, মাউশি অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী তরুণ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকারি দেয়ার নাম করে বেসরকারি শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া এবং কয়েকডজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার কাছে লাখ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার ব্যাচমেট সরকারি কলেজের অনেক প্রভাষকের কাছ থেকেও বদলির করিয়ে দেয়ার নামে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না। বদলিও করিয়ে দেননি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003032922744751