নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ছাতারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বাক্ষ জালিয়াতির অভিযোগে সম্প্রতি এই মামলা দায়ের হয়। মামলার নোটিশ ও অভিযোগনামা ওই শিক্ষককে দেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিস থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ রেজা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আনোয়ার বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির সভা করেন না এবং করলেও কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের অবগত করান না। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮-১০টি সভার রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের পরিচালিত হিসাবনম্বর থেকে ৮৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে কমিটিকে না জানিয়ে ইচ্ছেমতো খরচ করেছেন এবং খরচের ভাউচার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেননি।
এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে গত বছরের ২৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই সময় অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে ছাতারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আনোয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়। সুপারিশের আলোকে সৈয়দা হাসিনা আনোয়ারের কার্যকলাপ ও আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেনো তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না বা উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে না তা পত্র পাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে শোনানি দিতে ইচ্ছুক কি না তাও জবাবে লিখিতভাবে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আনোয়ার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এখনো মামলার নোটিশ হাতে পাইনি তবে শুনেছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অভিযোগকারী আফজাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি যে অভিযোগগুলো দায়ের করেছিলাম তা তদন্তে সত্যতা উঠে এসেছে। আসা করছি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইউসুফ রেজা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আনোয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলার একটি নোটিশ ও অভিযোগনামার কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।