অনুদানের আশ্বাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

একটি অসাধু চক্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে বিশেষ অনুদান পাওয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে কল করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন কোড নম্বর নিচ্ছে এবং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। বিষয়টি নজরে এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের।

বিভাগ বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংক হিসাবের গোপনীয় পিনকোড চাওয়া হয় নি। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে টাকা চাওয়া হয়না। তাই কেউ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পিন নম্বর চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরমর্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসাথে বিভাগের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।  

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান’ অনুসরণীয় নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে পওয়া আবেদন যাচাই-বাছাই করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। 

চলতি বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশেষ অনুদানের ৬ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী ও ১২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদের’ মাধ্যমে এ টাকা বিতরণ করা হবে। গত ৩০ জুন এ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

কিন্তু একটি অসাধু চক্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কল দিয়ে আর্থিক অনুদান দেবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের মোবাইল ব্যাংক হিসাবের গোপনীয় পিন কোড নম্বর নিয়ে সে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বলছে, এতে বিভাগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং এ বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরুপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আরও বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মোবাইল ব্যাংক হিসাবের গোপনীয় পিনকোড চাওয়া হয় নি। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে টাকা দাবি করা হয়না। যদি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অথবা অন্য যে কোন পরিচয় দিয়ে পিন কোড বা টাকা দাবি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং  প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004802942276001