অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আমার চেয়ারে লাথি দিয়েছে অভিভাবক নেতারা: ভিকারুননিসা অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অভিভাবক ফোরাম নামে অভিভাবকদের একটি সংগঠন নানাভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। আর ভাইরাল করা ফোনালাপটি এডিট করা বলেও দাবি করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা। অভিভাবকদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়নি বলেও দাবি করেন অধ্যক্ষ।

ফোন কল রেকর্ডের বিষয়ে মতামত জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের সঙ্গে। তিনি শনিবার (২৪ জুলাই) টেলিফোনে দৈনিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার সাথে কোন অভিভাবকের ফোনে কথা হয়না। তাই গালাগাল করার প্রশ্নই আসে না। 

আরও পড়ুন ..পিস্তল রেখে ঘুমাতাম, ..বাচ্চাকে দেশছাড়া করমু: ভিকারুননিসা অধ্যক্ষ বচনে হইচই

অধ্যক্ষ আরও বলেন, অভিভাবক ফোরাম নামে একটি সংগঠন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তারা বিভিন্ন অজুহাতে ক্যাম্পাসে ব্যবসা করার ফন্দি করছেন। তাদের ব্যবসার অনুমতি না দেয়ায় তারা নানা অপপ্রচার করছে। কয়েকজন অভিভাবকের অন্যায় দাবি না মানায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়টি শিক্ষা সচিবকে জানিয়েছেন বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান অধ্যক্ষ। তিনি আরও বলেন, টিপু, মজিদ, রানাসহ অনেকে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। 

শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেন, আমি ওদের সাথে কোন কথা বলি না। ওদের ফোন দেখলেও আমি এড়িয়ে যাই। গত ১৬ জুলাই রাতে আমার বাসায় হামলা করেছে অভিভাবক ফোরাম। 

তিনি আরও বলেন, তারা আমার কাছ থেকে বিভিন্নরকম অনৈতিক সুবিধা চান। তারা টাকা চায়। আমি দেই নি। তারা ফেসবুকে নানা কথা লিখেছেন। তারা আমার চেয়ারে লাথি দিয়েছে। বেতন নিয়েছি সেটা নিয়েও অনেক কথা বলেছে। টিপু-রানা-মজিদ তারা একে অপরের শত্রু ছিল। এখন আমার সাথে না পেরে তারা এক হয়েছেন। 

অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমি তাদের বলেছি, আমার নামে বদনাম করবেন না। আমি সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলাম। আমাকে তদবির করে বদলি করে দেন। মনিরুজ্জামান আর রিনা পারভিন গত এপ্রিল মাসের ৭ তারিখের দিকে আমার কাছে ভর্তি ও বদলি চেয়েছেন। তারা আমার কাছে শিক্ষার্থীদের ভর্তি চেয়েছেন। তারা বলেছেন, আপনার কাছে দুইটা অপশন। আমাদের ক্লাস ওয়ানের ভর্তি দেবেন, ক্লাস টু থেকে নাইনের ভর্তি দেবেন, পার্টটাইম শিক্ষক নিয়োগ দেবেন, শাখা পরিবর্তন দেবেন তা না হলে আপনার নামে আমরা পত্রিকায় লেখাবো। আমি বলেছি, আমি সরকারি কর্মকর্তা, সুনামের সাথে চাকরি পালন করেছি আপনারা এসব বলছেন কেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার কন্ফারেন্স রুমের দরজায় লাথি দিয়ে বলেছেন, যে প্রিন্সিপাল আমাদের কথা শোনেন না তাকে ছাত্রীদের দিয়ে মিছিল করিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেবো। 

তিনি আরও বলেন, তাদের অনৈতিক সুযোগ দিলে সরকার আমাকে শাস্তি দেবে। আমি কেন তাদের জন্য চুরি বা ভর্তি বাণিজ্য করবো।  আমি তাদের কোন অনৈতিক সুবিধা দেই নি। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় আমাকে চেনেন। আমি আমার সুনাম ধরে চাকরি করতে চাই।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031569004058838