অন্যের নিবন্ধন সনদে ৯ বছর শিক্ষকতা, মামলা দায়েরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অন্যের নিবন্ধন সনদ দিয়ে ৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন শাহেদা খাতুন। শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীর রোল ব্যবহার করে জাল সনদ তৈরি করে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট দ্বীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। অবশেষে যাচাইয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। ভুয়া সনদধারী এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি)। এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শাহিদা খাতুনকে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১ আগস্ট একই স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। জাল ও ভুয়া সনদের বিষয়টি গোপন করে এবং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত হন তিনি। গত ২৪  ডিসেম্বর শিক্ষকের সনদ যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে আবেদন করেছিলেন স্কুলের সভাপতি আকতার হোসেন। 

যাচাইয়ে তার সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাক আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শাহিদা খাতুনের (রোল-৩০৭১১৫৪৭) নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি সুলতানা খাতুন নামেন অন্য প্রার্থীর। তাই, জাল ও ভুয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত চিঠি সোনাহাট দ্বীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শাহেদা খাতুনের স্নাতক ও বিএড সার্টিফিকেটও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টাকার বিনিময়ে কেনা। 

অভিযুক্ত শিক্ষক শাহেদ খাতুন, প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলে  আশংকা স্থানীয়দের।

প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, ‘বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ কয়েকজন ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮ জানুয়ারি দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুধাংশু শেখর রায় অভিযোগ তদন্ত করেছেন। তিনি সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েছেন। তার মাধ্যমেই এনটিআরসিএতে সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই হবে। এনটিআরসিএ থেকে ঐ ধরনের কোন চিঠি পাইনি।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030930042266846