দৈনিক শিক্ষায় সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বিভিন্নখাতে নেয়া টাকা জমার রসিদ দিয়েছে সিলেটের উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে সেই রসিদে রয়েছে নানা অসংগতি। অতিরিক্ত ফি বৈধ করতে মনগড়া খাত দেখিয়ে রসিদ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, একটি রসিদে মোট চার হাজার টাকা উল্লেখ করলেও খাতওয়ারী যে টাকা উল্লেখ করা হয়েছে তা যোগ করলে তিন হাজার নয় শত পঁচাত্তর টাকা হয়।
এদিকে অতিরিক্ত ফি'র ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় ছাত্রছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তির সময় তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার পর্যন্ত ফি নেয়া হয়। এ ব্যাপারে ৩১ জুলাই দৈনিক শিক্ষায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীরা ছাত্রছাত্রীদের রসিদ দিতে শুরু করেন।
ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন কারো কাছ থেকে তিন হাজার পাচশত টাকা নিয়ে তিন হাজার টাকা,দুই হাজার পাচশত টাকা নিয়ে দুই হাজার টাকার রসিদ দেয়া হয়। রসিদে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও মাসিক বেতন সহ বিভিন্ন খাত দেখানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানায় অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও রসিদ না দেয়ার বিষয়টি আমরা শিক্ষকদের জানিয়েছি। শিক্ষকরা বিষয়টি অধ্যক্ষ মহোদয়কে জানানোর জন্য বলেন। পরে অধ্যক্ষ মহোদয়কে জানালে তিনি আমাদের ধমক দিয়ে বলেন তোমরা রসিদ পাবে। রসিদের বিষয়ে তোমাদেরকে কে প্ররোচিত করছে?
শিক্ষার্থীরা তাদের দেয়া জমা রসিদের ছবি দিয়ে দৈনিক শিক্ষাকে জানান কারো কাছ থেকে সাত মাসের, কারো কাছ থেকে আটমাসের অগ্রিম বেতন দেখানো হয়েছে। ভর্তির সময় সেশন ফি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতে এ বছর ভর্তি ফি এক হাজার টাকার বেশি নেয়ার কথা না। কিন্তু কলেজে ভর্তিকৃত ২৬১ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে তিন হাজার পাঁচশ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত করে নেয়া হয়েছে।
