অবসর ও কল্যাণের টাকা দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫-তে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেওয়া হয়। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ শতাংশ বেতন বাড়ে। হঠাত্ করে বেসরকারি শিক্ষক-নেতারা প্রবৃদ্ধির বর্ধিত ৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ কেটে রাখেন অবসরভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য। আগে অবসরভাতা ৪ শতাংশ এবং কল্যাণ ফান্ড ২ শতাংশ মোট ৬ শতাংশ টাকা কাটা হতো।

এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ভাতা যা দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েই খুশি ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন ৬ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ কর্তন করায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ভাতা কিভাবে দেওয়া হবে? প্রতিদিন শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর নিচ্ছেন। তাই ৬ শতাংশ কর্তনে কত প্রদান ও অতিরিক্ত কর্তনে কত দেওয়া হচ্ছে বা হবে তা গেজেট আকারে চিঠি দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দিলে তাঁরা উপকৃত হবেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।  

চিঠিতে আরও জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিসীমা ৬০ বছর পূর্ণ হলেই অবসর। কিন্তু অবসরের টাকা দেওয়া হয় চার-পাঁচ বছর পর। এই দীর্ঘ সময়ে একজন শিক্ষক তাঁর পরিবার নিয়ে কী করে চলবেন। আমি একজন নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর যেমন আপনাআপনি এমপিও থেকে নাম মুছে যায়, তেমনি অবসর ও কল্যাণের টাকা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। যদি সে ব্যবস্থা করতে বিলম্ব ঘটে তাহলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি শেষেই অবসর পেনশন চালু করা জরুরি। এ ব্যবস্থা না হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের সমুদয় টাকা এমপিওর মাধ্যমে বকেয়া হিসেবে ফেরত দেওয়া হোক।

প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি করে কলেজ জাতীয়করণে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যদি একবারে জাতীয়করণ করা যায়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের বেলায় কেন তা সম্ভব নয়? এর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট ও চিকিত্সাভাতা দেওয়া হয়েছে। শুধু শতভাগ উত্সবভাতা ও বাড়িভাড়া দিলেই সমস্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের পর্যায়ে পড়ে। তাই মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে এটা করার জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

লেখক : এস এম গোলাম মোস্তফা, ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043249130249023