অবসর-কল্যাণের কমিটি নেই, দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রায় দুই মাসের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি নেই। কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি। পদাধিকারবলে  এই দুই কমিটির প্রধান থাকেন শিক্ষাসচিব ও দ্বিতীয় প্রধান থাকেন বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। কমিটির অন্য সদস্যরাও বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদাসার শিক্ষক। প্রায় দুই মাসের মতো বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের প্রধান নিয়োগ না  দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সুবিধা প্রত্যাশী শিক্ষকরা।

সারাদেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা থেকে অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের 'অবসর' এবং 'কল্যাণ ট্রাস্ট'-এর ভাতা প্রদানকারী হচ্ছে এ দুই প্রতিষ্ঠান। দ্রুত কমিটি না হওয়ায় অন্তত ২৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ভাতা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, এমনিতেই প্রতিষ্ঠান দুটিতে অর্থ সংকটের কারণে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় অবসর ও কল্যাণ ভাতা পেতে। এর পর দায়িত্বশীল প্রধান কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকলে আরও বেশি ভোগান্তি হবে। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড-এর সদ্য বিদায়ী সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, প্রায় ১৩ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি বাকি।

কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সদ্য বিদায়ী সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু জানান, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন পর্যন্ত আবেদনকারীদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এখনও প্রায় ১০ হাজার আবেদন জমা পড়ে আছে, যেগুলো ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করা হবে।

পুরনো বেতন স্কেল অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত কেউ কেউ অর্ধেক টাকা পেয়েছেন। নতুন স্কেল অনুসারে বাকি টাকাটুকুও তারা পাবেন। সে হিসাবে মোট অনিষ্পন্ন আবেদন ১৫ হাজারের মতো হবে এখনও। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

জানা গেছে, এ দুই প্রতিষ্ঠানে অর্থের অভাব ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবনের শেষ প্রাপ্তির এই অর্থ ভোগ করার ভাগ্য হয় না। অবসর গ্রহণের পর কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের টাকা পেতে সময় লেগে যায় ৩ থেকে ৪ বছর। এ সময়ে অনেক শিক্ষক চলে যান না ফেরার দেশে। সুচিকিৎসার অভাবে কারও আবার পঙ্গুত্বও বরণ করতে হয়। 

অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সুবিধা দিতে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড গঠন হয়। এ বোর্ডের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরকালীন সময়ের সুবিধা প্রদান করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা প্রদান কার্যক্রম এই বোর্ডের আওতাভুক্ত। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022311210632324