শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার। গত ১৮ এপ্রিল এক মাসের ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যান দেশের বাইরে। ছুটির হিসাব অনুযায়ী, ১৭ মে পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকার কথা তাঁর। অথচ গত শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই রুয়েটে অনুষ্ঠিত রাজশাহী ওয়াসার নিয়োগ পরীক্ষার ডিউটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, ছুটিতে থাকাকালে কাউকে না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি হঠাৎ নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার ডিউটিতে অংশ নিয়েছিলেন।
রুয়েট ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদে রুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে পরীক্ষা হয়। প্রটোকল অনুযায়ী, সেই নিয়োগ পরীক্ষায় ডিউটির দায়িত্ব পেয়েছিলেন রুয়েটের পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক।
চিকিৎসা শেষে আল বেরুনী ফারুক দেশে ফিরেছেন ৫ মে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করেই ওয়াসার নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে রুয়েটের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা জানান, শাহ আল বেরুনী ফারুক অসৎ উদ্দেশ্যে তথা কোনো চাকরিপ্রার্থীকে সহযোগিতা করতেই ছুটিতে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ডিউটিতে অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক বলেন, ‘আমার ছুটি শেষ হবে ১৭ মে। যোগদানের সঙ্গে ডিউটি পালনের কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনি করি না। কারণ, এটি রুয়েটের অভ্যন্তরীণ কোনো পরীক্ষা নয়। আর সেই পরীক্ষায় আমি ইনভেজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সঙ্গে আরও দুজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি কেমন করে অসৎ উদ্দেশ্যে সেখানে ডিউটি পালন করতে যাব?’
এই নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বেগ। এ সম্পর্কে জানতে তাঁর মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রুয়েটের কম্পট্রোলার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘অথোরিটিকে না জানিয়ে এভাবে ডিউটি পালন করা কোনোভাবেই উচিত নয়। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’