স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে এমপিও বন্ধ হচ্ছে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ডি. ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম এ হাবীব সরকারের।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডি. ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম সরোয়ারের নাম এমপিও হতে কর্তন করা কেন হবে না মর্মে তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ই জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক আদেশ এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, সুন্দরগঞ্জ ডি. ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম মনজু এবং অভিভাবক সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তারা বলেন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে নভেম্বর ডি. ডব্লিউ কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে একজন প্রভাষক নিয়োগ দেয় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম এ হাবীব সরকার। কিন্তু তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি মুহা: আব্দুল হাই মিল্টনের অসম্মতি এবং অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষর জাল করে মো. গোলাম সরোয়ার নামের একজনকে সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তৎকালীন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ আব্দুল হাই মিল্টনের স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয় নি।
এজন্য কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূত হয়েছে বিধায় ওই নিয়োগটি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
একইসাথে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক যেন কোন ভাবেই এমপিও সুবিধা না নিতে পারে সেজন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালককে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এ কে এম এ হাবীব সরকারের নাম এমপিও হতে কেন বাদ দেওয়া হবে না এ বিষয়ে তার কাছে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় শিক্ষা অধিদপ্তর।