অবৈধ অধ্যক্ষ: আটকে যাচ্ছে জিবিজি কলেজের পদসৃজন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছেন টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সদ্য সরকারিকৃত জিবিজি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলম। দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কয়েক দফা চিঠি দেয়া হলেও তিনি তা আমলে নেননি। তাই আটকে যাচ্ছে পদসৃজনের কাজ। 

অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলমের বয়স এমপিও ডাটাবেজ অনুযায়ী, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। জনবল কাঠামো-২১০৮ এর ১১.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘‘বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা সহকারী প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো অবস্থাতেই পুনঃনিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না।’’ জনবল কাঠামো অনুযায়ী মো. শামছুল আলমের বয়স ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় অধ্যক্ষ পদে তার দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই।

জনবল কাঠামো-২০১৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের পারস্পারিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর করা হবে। তবে এমপিওভুক্তি একই তারিখ হলে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে। তবে কোনো শিক্ষকের নিয়মিতকরণ হলে নিয়মিতকরণের তারিখ থেকে  যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে। যোগদানের তারিখ একই হলে জন্মতারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে।

শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অধ্যক্ষের দায়িত্বভার উপাধ্যক্ষ বা জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষকের কাছে হস্তান্তরের জন্য মো. শামছুল আলমকে চিঠি দেয়া হয়। অদ্যবধি তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যাসহ বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে শোকজের জবাব না দেয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না পাওয়ায় কেন প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির অনুমোদন বাতিল করা হবে না তার সঠিক ব্যাখ্যাসহ ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে দৈনিকশিক্ষা ডটকম থেকে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে পুনঃনিয়োগ দিয়োগ দিয়েছে। অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ঢাকা বোর্ড থেকে। সেটির জবাবও দিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029339790344238