অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হওয়ায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৭ শিক্ষককে এমপিও বাবদ উত্তোলিত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭ শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। জালিয়াতি করে এসব শিক্ষকের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
৭ শিক্ষক হলেন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল লতিফ, সিভিল কন্সট্রাকশন বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. রবিউল করিম, ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং বিষয়ের ইন্সট্রাক্টর মিস জামিমা তানভিন, বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. নাজিম উদ্দিন, কৃষি শিক্ষা বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. মাহফুজ আহমেদ এবং ইংরেজি বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল রাজ্জাক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে আসা অভিযোগে বলা হয়, ৭ শিক্ষক জালিয়াতি করে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ তা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে জালিয়াতি করে এসব শিক্ষকের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ শিক্ষককে এমপিও বাবদ উত্তোলিত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের থেকে ৭ শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব শিক্ষককে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে এ যাবত গৃহীত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। চালানের মূল কপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।