'অবৈধ কমিটির' মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া কর্মচারীর এমপিও আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

যশোরের চৌগাছা উপজেলার বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে `অবৈধ কমিটির’ মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া সেই সহকারী গ্রন্থাগারিকের এমপিওর আবেদন করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর এ আবেদন করেছেন বিদ্যালয়টির অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। যদিও এর দুইদিন আগে যশোর জেলা শিক্ষা অফিস ও যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এ কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

যশোর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামানকে। আর যশোর শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে তদন্ত করবেন জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল খালেক।

এমপিও আবেদনের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে  নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান।

এর আগে ৪ অক্টোবর বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নাজিম উদ্দিন নামে একব্যক্তি কিছু তথ্য-উপাত্তযুক্ত করে এসব অভিযোগ তুলে জেলা শিক্ষা অফিস ও যশোর শিক্ষা বোর্ডে দুইটি আবেদন করেন।

জেলা শিক্ষা অফিসের গঠিত কমিটির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চৌগাছার বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। শতভাগ স্বচ্ছাতার সাথে তদন্ত করে আমি দ্রুতই প্রতিবেদন দখিল করবো।

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সহকারী গ্রন্থাগারিক ছালমা খাতুনকে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। যেহেতু, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে তদন্ত চলছে, সেহেতু এখনই এই আবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো  হচ্ছে না। 

অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন সহকারী গ্রন্থগারিক পদ খালি ছিল। সম্প্রতি সেই পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছালমা খাতুন নামে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নিয়োগবাণিজ্যের জন্য প্রধান শিক্ষক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। যার অংশ হিসেবে নিজের অনুগতদের সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিতে এমন একাধিক অভিভাবক সদস্য আছেন, যাদের সন্তান স্কুলটিতে লেখাপড়া করে না। এই অবৈধ কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও কতিপয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত মিলে এই নিয়োগবাণিজ্য করেছেন।

সূত্র বলছে, শুধু ম্যানেজিং কমিটি নয়, নিয়োগবাণিজ্য সুচারুরুপে করতে নিয়োগ বোর্ড গঠনেও অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বোর্ডে এমন একজনকে অভিভাবক সদস্য করা হয়, যার কোন সন্তান স্কুলটির শিক্ষার্থী নয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048649311065674