সিলেটের গোলাপগঞ্জের কালিকৃষ্ণপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উল্লাহকে মদদ ও তাকে পুনর্বহাল করার অভিযোগে গোলাপগঞ্জ ইউএনও মামুনুর রহমানের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী। এতে উপস্থিত ছিলেন এম কবির উদ্দিন, উবায়দুল হক, আসকর আলী, ইসমাইল হোসেন, হাছন আলী ও মুক্তার আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মো. শরীফ উল্লাহ। নানা অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়লে তাকে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই শোকজ করে। জবাবে শরীফ উল্লাহ অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন এবং টাকা ফেরত দিয়ে ভবিষ্যতে দুর্নীতি করবেন না বলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারও করেন। কিন্তু তার পরও দুর্নীতিতে জড়ান তিনি। তার অনিয়মের কারণে গোলাপগঞ্জের তৎকালীন ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে ও স্কুল কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষকের এমপিওভুক্তির কাগজপত্র অগ্রসর না করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৮ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কমিটি ৩ মাসের পর্যবেক্ষণে রাখে তাকে। কয়েকদিন আগে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এমপিওভুক্তির বিষয়টি অগ্রগামী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তার স্বাক্ষর ও সিল নেন। বিষয়টি গোলাপগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ইউএনও মামুনুর রহমান জানার পরও ব্যবস্থা না নিয়ে মদদ দিচ্ছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউএনও মামুনুর রহমান বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দোষী হলে অবশ্যই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আমার অপসারণের প্রশ্ন আসছে কেন, তা বোধগম্য নয়।