অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জবি শিক্ষক সমিতির পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের দুই গ্রুপের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নতুন করে সামনে এসেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদলিপি দেয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

জানা যায়, নীলদলের একাংশের (মনিরুজ্জামান-সিদ্দিকুর রহমান গ্রুপ) সদস্য অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার করা হয়। এতে নীলদলের আরেক গ্রুপ (জাকারিয়া-আবেদ) ক্ষিপ্ত হয়। এর রেশ ধরে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ড. আইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু এ সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন ড. আইনুল ইসলাম। 

এরপরই গত বুধবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. মহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদলিপি দেন।

এরপরেই সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মাশরিক হাসান ও সহ-সভাপতি ড. মমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত পাল্টা আরেকটি বিবৃতিতে জানান, আগের প্রকাশিত প্রতিবাদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সকল সদস্য একমত নন ও সংশ্লিষ্ট নন। এমন পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে শিক্ষকদের মাঝে দীর্ঘদিনের কোন্দল নতুন করে সামনে উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মাশরিক হাসান বলেন, সভায় আমাদের কিছু মতামত ছিলো, সেটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এজন্য শিক্ষক সমিতির নামে প্রথম যে বিবৃতি প্রচার হয় সেখানে আমার স্বাক্ষর ছিলো না। তাই আমরা পৃথক বিবৃতি দিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

এদিকে সভাপতির অনুমতি ছাড়া সভা ডাকা যায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিবৃতি দেয়ার বিষয়ে কোনো মিটিং ছিলো না। সেক্রেটারিকে বাইপাস করে বিবৃতি দেয়ায় আমরা এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

অন্যদিকে বিপক্ষ গ্রুপের দ্বন্দ্বে পড়ে নিজের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হয়েছে মন্তব্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদে আসীন হলেই বিপক্ষ গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নামে। কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, ওই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট অনেকের কাছে আছে। সেখানে দেখবেন ঘটনার সঙ্গে আমার নামই নেই। আমি সেখানে ট্রেজারার ছিলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে আসতে চাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এরপরেই মিথ্যাচার করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো - dainik shiksha অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ - dainik shiksha সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের - dainik shiksha সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম - dainik shiksha মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের - dainik shiksha গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস - dainik shiksha শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026121139526367