অরিত্রীর আত্মহত্যা : পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে (১৫) আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মেরিনা মন্ডল। তিনি সুরতহালের সাক্ষী। এ নিয়ে মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার ( ৩ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদনও মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল। এজন্য তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাকে অনেক অপমান করেন। এ অপমান ও পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002565860748291