একসময় দেশের মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে ভাবা হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ তথা ডাকসুকে। দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর অলিখিত নিষেধাজ্ঞার অচলায়তন ভেঙে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু ও হল ছাত্রসংসদগুলোর নির্বাচন। এ নির্বাচনে সরকার সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ডাকসুর ২৫টি পদের ২৩টিতে জয়ী হয়েছে।
১৮টি হল সংসদের বেশির ভাগ হলেও জয়ী হয়েছে তারা। তবে ডাকসুর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পদ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর। ডাকসু ও হল সংসদে ছাত্রলীগ বাদে যারা জয়ী হয়েছেন তাঁরা সবাই কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরব অংশগ্রহণে। যেকোনো নির্বাচনে হারজিত থাকে, ডাকসু নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যাদের তারা তাদের সুখ-দুঃখের সময় পাশে পেয়েছে, তাদেরই বেছে নিয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মনোজগতে যে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার প্রতিফলন ঘটেছে সহসভাপতি পদে তাদের প্রার্থীর জয়লাভে। ডাকসু নির্বাচনে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের অবতারণা ঘটলেও এ নির্বাচনে নির্বাচনহীনতার যে অচলায়তনের ইতি ঘটেছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই।
কলকলিয়াপাড়া, মাগুরা।