নেত্রকোণার মদনে মাধ্যমিক এক বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকীর নবম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার থেকে প্রশ্নটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার এ পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিলো। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী প্রশ্নটি বাতিল এবং পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন। বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে দেখা গেছে স্কুলের নামও ভুল লেখা হয়েছে। বিদ্যালয়টি নাম বালালী বাঘমারা হলেও প্রশ্নে লেখা হয়েছে বালালী বাগজান উচ্চ বিদ্যালয়। এ নিয়ে অভিভাবক, সচেতন মহল, সাবেক ও বর্তমানে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বুধবার ৯ম শ্রেণির ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভুল করে দুই-তিনটি কক্ষে ইংরেজি ২য় পত্রের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নজরে আসলে ক্লাস থেকে প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়। তবে কিছু দুষ্টু ছাত্র হয়ত প্রশ্নটির ছবি তুলে রেখে পরে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ প্রশ্নটি আমি বাতিল করেছি। তবে প্রশ্নে বিদ্যালয়টির নাম ভুল কেন আসল এমন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেটে সংশোধন করেছি এবং যারা প্রশ্ন তৈরি করেছে তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি।
বিদ্যালয়টির সাবেক এক শিক্ষার্থী শুভ্রত হাসান তূর্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একটি প্রশ্নে বিদ্যালয়ের নাম ভুল হবে আমি এই প্রথম দেখলাম। আমার মনে হয় শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। একদিকে প্রশ্ন ফাঁস আরেকদিকে বিদ্যালয়ের নাম ভুল। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল বারী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকীর নবম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নটি ফাঁস হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ প্রশ্নটি বাতিল করেছি এবং প্রধান শিক্ষকে বলেছি নতুন আরেকটি প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেয়ার জন্য।