দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: আজ ২৩ মে, আন্তর্জাতিক ফিস্টুলা নির্মূল দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন নীরবতা ভেঙে ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীদের খুঁজে বের করি, প্রসবজনিত ফিস্টুলা প্রতিরোধ করি।’ দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ফিস্টুলা নারীদের রোগ। যোনিপথ, মূত্রাশয় ও মলদ্বারের মাঝখানে কোনো অস্বাভাবিক পথ তৈরি হলে, এটিকে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বলে। এর ফলে প্রস্রাব-পায়খানায় রোগীর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। চিকিৎসাবিহীন প্রলম্বিত ও বাধাপ্রাপ্ত প্রসবের কারণে এই ফিস্টুলা হয়।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাল্যবিবাহ এবং অল্প বয়সে সন্তান প্রসবের কারণে ফিস্টুলায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগীর মধ্যে ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে প্রথম প্রসব করেছিলেন।
দেশে ফিস্টুলা আক্রান্ত রোগীর কোনো তালিকা না থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার নারী প্রসবজনিত ফিস্টুলায় ভুগছেন। প্রতি এক হাজার বিবাহিত নারীর মধ্যে ১ দশমিক ৬৯ জন এতে আক্রান্ত।
ইউএনএফপিএ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০২২) দেশের ১৮টি হাসপাতালে ভর্তি ৭১৯ জন ফিস্টুলা রোগীর ওপর চালানো এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, গড়ে ১৮ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর এসব রোগীর ৭০ শতাংশ পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে।
ফলাফলে আরো দেখা গেছে, ফিস্টুলা রোগীর মধ্যে ৩০ দশমিক ৪ শতাংশের বয়স ছিল ৪০ থেকে ৪৯ বছর, ৫০ বছরের বেশি ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ২৬ দশমিক ১ শতাংশের বয়স ৩০ থেকে ৩৯ বছর, ৮ দশমিক ৭ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৯ বছর। এসব রোগীর ৭৯ দশমিক ৩ শতাংশের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।