আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী যারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন না তাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি কর্মকার। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, এটা আপনাদের ওপর একটি গুরুদায়িত্বও যেসব শিক্ষার্থী আসলেই আর্থিকভাবে অসচ্ছল, মেধাবী কিন্তু তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন না তাদেরকে একটু সহযোগিতা করা। আপনাদের সহযোগিতা না থাকলে কিন্তু এই বৃত্তি তারা পাবে না।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) কর্মপরিকল্পনা’র কার্যক্রম ৩.৩ অনুযায়ী স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রদানে দুর্নীতি প্রতিরোধকল্পে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
স্মৃতি কর্মকার আরো বলেন, আর একটা ব্যাপার হলো উপবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে যারা খুবই গরিব, বাবা নেই, কোনো অভিভাবক নেই কোনোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না, তাদেরকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
এ রকম শিক্ষার্থীদের আপনারা বাবার ডেথ সার্টিফিকেটসহ আমাদের এখানে প্রত্যয়ন করাবেন। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। আমরা দশ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়ার ব্যবস্থা করবো, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি তাদের ২৫ হাজার টাকা বা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে থাকি সেটা দিয়ে একটা সঞ্চয়পত্র কিনে তারা কিন্তু কিছুটা হলেও চলতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড-এর ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেন, আমরা জানতে পারি পাসওয়ার্ডটা মাঝে মাঝে শেয়ার হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে হ্যাকাররা হ্যাক করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আপনাদেরকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। পাসওয়ার্ডটা যেনো কোনোভাবেই শেয়ার না হয়। শিক্ষার্থীদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।