সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে 'অ্যাসাইনমেন্ট ফি'র নামে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে। সরকারি পরিপত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় সম্পূর্ণ অনৈতিক। এরপরও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রথম বর্ষের ৪০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে অ্যাসাইনমেন্ট ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষের নির্দেশে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দফায় দফায় আদায় করেন প্রতিষ্ঠানের করনিকরা। এ অর্থ ফেরতের দাবিতে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শনিবার সকালে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। বিষয়টির তদন্তসহ দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানান তারা। আন্দোলনের কারণে ইয়ার চেঞ্জ বা বার্ষিক উন্নয়ন পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নুরনবী হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী। চলমান করোনায় দফায় দফায় সুতার দাম বাড়ায় এমনিতেই এ অঞ্চলের অনেক তাঁত শিল্প বন্ধ রয়েছে। কাজকর্ম হারিয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপনও করছেন। এ সময়ে এভাবে অর্থ আদায় করছেন প্রধান শিক্ষক।
সাংবাদিকদের দেখেই অধ্যক্ষ হায়দার আলী দ্রুত সটকে পড়েন।
চৌহালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকার বলেন, অমানবিক এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ফি, বেতন বা সেশন চার্জ- কোনোটিই নেওয়া যাবে না।
চৌহালী ইউএনও ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ফি আদায় করাটা নীতিবিরুদ্ধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।