ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ এবং এর ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করেছে চান মিয়া সিং নামে এক ব্যক্তি। রোববার ওই ছাত্রী পাগলা থানায় চান মিয়া সিং, তার সহযোগী মোশারফ হোসেন ও মো. স্বপনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরে পুলিশ চান মিয়াকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ ও মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা এলাকার কান্দিপাড়া গ্রামের ওই কলেজছাত্রীর মা গত ৮ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ বড় মেয়েকে দেখতে তার শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সুযোগে একই গ্রামের আব্দুল বারেক সিংয়ের ছেলে চান মিয়া সিং এক সহযোগীকে নিয়ে ওই রাতে মেয়েটির বাড়িতে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার সহযোগী মোশারফ হোসেন মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। চলে যাওয়ার সময় চান মিয়া হুমকি দিয়ে যায়, এ ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর চান মিয়া ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ময়মনসিংহের চরপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনারও ভিডিওচিত্র ধারণ করে তার দুই সহযোগী মোশারফ ও স্বপন। এক পর্যায়ে মোশারফ ও স্বপন মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে এক নার্সের সহায়তায় সেখান থেকে সে পালিয়ে আসে। পরে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে পরিবারকে বিস্তারিত জানায়। রোববার সন্ধ্যায় মেয়েটি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
মেয়েটির মা বলেন, অভিযুক্তদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে এক পর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আমার মেয়ে। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেও তাদের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে পারছিলাম না। তারা মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। আমাকে ও মেয়েকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদের লোকজন।
পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়জুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত চান মিয়া সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।