করোনা’র ভুয়া টেস্ট ও জাল সনদপত্র প্রদানসহ প্রতারণার সীমাহীন অভিযোগে দেশব্যাপী বহুল আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামী করে সাতক্ষীরার সীমান্ত দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই র্যাব-৬ এ সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস এ্যাক্টের ১৯ এ তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রতারক শাহেদ করিমকে প্রধান আসামিসহ নৌকার মাঝি বাচ্চুকে পলাতক আসামি ও আরো একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, র্যাব এর পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রতারক শাহেদকে মুল আসামি এবং একজনকে পলাতক ও আরো একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় ইতোপূর্বে প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯ টি মামলার সন্ধান পায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যার মধ্যে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ। সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের ভুয়া টেস্ট ও জাল সনদ প্রদানের ঘটনায় র্যাবের অভিযানে রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা ও মামলা দায়ের হলে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও আলোচিত প্রতারক মো. শাহেদ।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার ভোরে ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর প্রাক্কালে দেবহাটার শাঁখরা কোমরপুর সীমান্ত থেকে সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এঘটনার পর রাতে র্যাবের পক্ষ থেকে প্রতারক শাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নতুন করে মামলাটি দায়ের করা হয়।।