অ্যাকাউন্ট ছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদ নেওয়া যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদ বা আসল নিতে পারবেন না গ্রাহক। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। একই নির্দেশনা সঞ্চয়পত্র বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অফিসে আগেই পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ:অগ্রাধিকার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা (পিইএমএস)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, পোস্ট অফিস বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর যেখান থেকেই সঞ্চয়পত্র কেনা হোক, বাধ্যতামূলকভাবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট লাগবে। ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর বা বিইএফটিএন পদ্ধতিতে সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে তার পাওনা জমা হয়ে যাবে। বর্তমানে টোকেন পদ্ধতিতে সঞ্চয়পত্রের সুদ বা আসল নেওয়া যায়। 

ঢাকা মহানগরীতে নতুন পদ্ধতির বাস্তবায়নের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে সব বিভাগীয় শহর এবং জুনের মধ্যে দেশের সব দপ্তরে এ পদ্ধতি চালু করতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে এ পদ্ধতির বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা করতে পারবে না।

নতুন কর্মসূচির আওতায় 'জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' চালু করেছে সরকার। এর মাধ্যমে যেখান থেকেই সঞ্চয়পত্র কেনা হোক, একটি ডাটাবেজে তার তথ্য জমা হবে। ফলে একই নামে একাধিক জায়গা থেকে সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার অনিয়ম বন্ধ হবে। এ ছাড়া এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা একই দিনে ব্যাংকগুলোকে সরকারি হিসাবে জমা দিতে হবে।

বর্তমানে সরকারের ঋণ গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে চার ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প চালু আছে। একজন ব্যক্তি কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন তার নির্দিষ্ট সীমা আছে। কেউ সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে অতিরিক্ত বিনিয়োগের ওপর তিনি কোনো সুদ পাবেন না। তবে সঞ্চয়পত্রের নির্দিষ্ট কোনো ডাটাবেজ না থাকায় অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকায় অনেকে ভিন্ন ভিন্ন অফিস থেকে বিপুল অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023620128631592