আমাদের দেশে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে 'অ্যাসাইনমেন্ট' সদ্য এক নতুন সংযোজন। কলেজের উচ্চতর ক্লাসগুলোতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এতোদিন এর প্রয়োগ লক্ষ্য করা গেলেও করোনাকালে এটি মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবর্তন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও এনসিটিবি দুঃসময়ে একটি সময়োপযোগী ও যথার্থ কাজ করেছে বলে মনে হয়েছে। এজন্য আজকের লেখাটি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করতে চাই।
আমাদের দেশে এতদিন থেকে অনার্স-মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্ট একটি অপরিহার্য কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ যেমন, ডিপিএড, বিএড, বিপিএড, এমএড ইত্যাদিতে অ্যাসাইনমেন্টের কিছুটা প্রয়োগ আগে থেকেই ছিল। পৃথিবীর বহুদেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। আমাদের দেশে করোনার দুঃসময়ে শিক্ষার ঘাটতি কিছুটা পূরণ করার উদ্দেশ্যে এই প্রথম মাধ্যমিক স্তরে অ্যাসাইনমেন্ট চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অনলাইন ক্লাসের মত অ্যাসাইনমেন্ট সবার মনযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার কারণে শতভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসতে পারেননি। কিন্তু শতভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে সহজেই সম্পৃক্ত হতে পেরেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে অ্যাসাইনমেন্টের প্রতি হয়তো বা এই বাড়তি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
এনসিটিবি, শিক্ষা অধিদপ্তর বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ে আমরা যে যা বলি না কেনো, মাঝে মাঝে এরা (অবশ্য বেসরকারি শিক্ষকদের উপকার ছাড়া) কিছু প্রশংসনীয় কাজও করে থাকে। এ প্রসঙ্গে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। আমাদের শিক্ষা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা যখন নকলের স্রোতে এক রকম ভেসে যেতে বসেছিলো, ঠিক তখন সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করে দেশের শিক্ষা তথা পরীক্ষা পদ্ধতিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে কে জানে এতোদিনে আমাদের শিক্ষা ও পরীক্ষা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো?
পরিতাপের বিষয় এই যে, নতুন কোনো কিছু চালু হতে না হতেই সেটির প্রতি আমরা মনযোগ ও আগ্রহ উভয়ই হারিয়ে ফেলি। এরকম করে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির সুফল আজ পর্যন্ত আমরা ঘরে তুলতে পারি নাই। এটির যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে আমাদের শিক্ষায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হতে পারতো। শিক্ষাকে বিশ্ব মানে উন্নীত করা যেতো। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সফল করার জন্য কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে? নোট-গাইড ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে না পারার কারণে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি আজ এক রকম মাঠে মারা যেতে বসেছে।
অ্যাসাইনমেন্ট মুলত একটি গবেষণাধর্মী কাজ। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও চিন্তা শক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে একটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবার প্রয়াস অ্যাসাইনমেন্টে প্রতিফলিত হয়। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন, করোনার এই দুর্দিনে মাধ্যমিক পর্যায়ে এটি কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখিয়েছে। মহামারির এই দুঃসময়ে শিক্ষা যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখন অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে সামান্য হলেও গতি সঞ্চার করতে পেরেছে। আমাদের দেশে করোনা আসার আগে আমরা প্রায় তিন-চার মাস সময় হাতে পেয়েছি। সে সময়ে এরকম একটি পুনর্বিন্যস্ত সিলেবাস তৈরি করে করোনার শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া যেতো। এ রকম প্রত্যেক শ্রেণিতে প্রতি মাসে অন্তত পাঁচটি করেও অ্যাসাইনমেন্ট দিলে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে এতটুকু বিচ্যুত হতো না। সেটি করতে পারলে আমাদের শিক্ষায় আজ এমন ঘাটতি দেখা দিতো না।
করোনাকালে শিক্ষার ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশের শিক্ষক সমাজ বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছেন। সেই সাথে আরও আগে অ্যাসাইনমেন্টের রুপরেখা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে পারলে শিক্ষার ধ্বস অনেকটা ঠেকানো যেতে পারতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অধিদপ্তর কিংবা এনটিসিবি'র কর্মকর্তারা সে সময় এ বিষয়ে একদম মাথা ঘামাননি। ঠিক যেমন বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে এসে হলেও মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তারা তাদের পাঠ্যপুস্তকের কাছে আসতে শুরু করেছে। সীমিত আকারে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোথাও কোথাও তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের সাহচর্যে এক-আধটু যেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যেখানে অভিভাবকেরা বেশির ভাগ হতদরিদ্র ও অসচেতন, সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেরা যেভাবে হোক সংগ্রহ ও জমাদানের কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের সাথে তাদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনে আনন্দের সঞ্চার হচ্ছে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির একটি পথ সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের সাহচর্য থেকে দূরে থাকার কারণে তাদের মনে এক রকম একটি একঘেঁয়েমী ভাব এসে গিয়েছিল। অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়ে সেটিতে মনোনিবেশ করায় তা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ঝরে পড়েছে। আরও অনেকেরই ঝরে পড়ার উপক্রম হয়েছিলো। অ্যাসাইনমেন্ট আপাতত কিছুটা হলেও সে পথ বন্ধ করে দিতে পেরেছে।
অ্যাসাইনমেন্টের কাজটি করলে সেটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা শক্তি আরও প্রসারিত করবে। কিন্তু তা যদি অন্য কেউ করে দেয় কিংবা একজন আরেকজনের দেখে দেখে লেখে অথবা যদি কোথাও তারা অ্যাসাইনমেন্টগুলো রেডিমেড পেয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রণীত ও বিন্যস্ত অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়ে যেতে বাধ্য। ফেসবুকে কেউ কেউ বিভিন্ন শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে ছেড়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে আপলোড করছে। এসব করে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা খেয়ে কী লাভ ?
ইউটিউব বা ফেসবুকে অ্যাসাইনমেন্টের গাইড লাইন বা নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু পুরো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে দেবার কোনো মানে হয়না। নোট-গাইড দিয়ে আমরা একবার আমাদের প্রজন্মের মাথা খেয়েছি। এখন আবার অ্যাসাইনমেন্ট নিজেরা তৈরি করে দিয়ে তাদের মাথা আরেকবার খেতে বসেছি। এসব না করাই শ্রেয়। এসবের বিরুদ্ধে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
যে যাই বলি কিংবা মনে করিনা কেনো, আসলে বর্তমান করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে ফিরিয়ে আনতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসুচির ভিত্তিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটিতে ছয় সপ্তাহের আঠারটি অ্যাসাইনমেন্টের যে কাজ দেয়া হয়েছে, তাতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য পুনরায় একটি যোগসূত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ মুহূর্তে এর চেয়ে ভালো কিছু আছে বলে মনে হয় না।
বর্তমান পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না খোলা বিষয়ে যে দোলাচল সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিরসনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্পষ্টত দিক নির্দেশনা দিতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও নেয়ার কাজে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একেকদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসছে। সেটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেবার একটি রিহার্সেল হিসেবে দেখা যেতেই পারে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে আরেকটি নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র কয়েকদিন বাকি। করোনা মেনে আমরা বেশ কয়েক মাস থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। অফিস-আদালত, হাট-বাজার, কলকারখানা, গার্মেন্টস, কওমি মাদরাসা সবই যথারীতি চলছে। যতটুকু সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান রাখা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার বিষয়ে অহেতুক বিলম্ব করা আর সমীচীন হবে না। গত এক সপ্তাহ ধরে অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ ও সংগ্রহ করতে গিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহের চিত্র দেখে এ কথা যে কেউ বলতেই পারে।
অটোপাসের বদনাম ঘুচাতে অ্যাসাইনমেন্ট কিছুটা হলেও সহায়ক হতে পারে। যদিও পাস কিংবা ফেলের ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট বিবেচনায় আনার কোনো সুযোগ নেই। অ্যাসাইনমেন্টের আলোকে উপরের শ্রেণিতে হাজিরা খাতার রোল বা ক্রম ঠিক করে দেয়া যায়। সবাই অটোপাস পেলেও শ্রেণি রোলের একটি বিষয় থেকে যায়। সচরাচর একজন শিক্ষার্থী শ্রেণি রোল দ্বারা তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের কাছে পরিচিত হয়। বিশেষ করে শিক্ষকরা শ্রেণি রোল দিয়ে শিক্ষার্থীদের আইডেন্টিফাই করে থাকেন। অটোপাসের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অনেক শিক্ষক এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার মতামত জানতে চেয়েছেন। আমি তাদের দু'টো পরামর্শ দিয়েছি। প্রথমত, অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শ্রেণি রোল বা ক্রম ঠিক করে দেয়া যায়। দ্বিতীয়ত, পূর্বের শ্রেণি রোল যার যেটি আছে সেটি বহাল রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যে শিক্ষার্থী ড্রপ আউট হয়েছে, তার ক্রম বা রোল পরবর্তি ক্রমের শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত করে দেয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হয়, অ্যাসাইনমেন্টের আলোকে পরবর্তী শ্রেণির রোল বা ক্রম নির্ধারণ করা। এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলে সে পথেই হাঁটা ছাড়া আর কোনো পথ দেখি না।
করোনাকালে কিংবা করোনার মতো যে কোনো দূর্যোগে শিক্ষা কার্যক্রম বাঁচিয়ে রাখতে অনলাইন শিক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। কেবল মহামারি কিংবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে নয়, স্বাভাবিক সময়েও এ দু'টো বিষয় সচল রাখলে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি। মুখস্ত করে 'গরু' রচনা লেখার দিন এখন আর নেই। আজ আমরা গতানুগতিক শিক্ষা ধারা পরিহার করে পরীক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন চাই। গতানুগতিক শিক্ষা ধারায় যেমন তেমন কিছু শেখার নেই, তেমনি প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ মুল্যায়নের সুযোগ একেবারে কম। বর্তমান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ফল জানা যায় বটে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সে কতটুকু শিখতে পেরেছে-সেটি জানা খুবই কঠিন। পরীক্ষা হচ্ছে পাস কিংবা ফেলের মাপকাঠি , কিন্তু প্রকৃত মুল্যায়নের কোনো উপায় নয়। অনুরুপ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রি অর্জনের অবারিত সুযোগ বিদ্যমান। কিন্তু প্রকৃত মানুষ হবার সুযোগ বহুলাংশে সীমিত। বর্তমান পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো শিক্ষা আজ আমাদের একান্ত প্রয়োজন। পরীক্ষা ব্যবস্থারও আমুল পরিবর্তন চাই।
লেখক : অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট।