আইন ভেঙে জবি অধ্যাপককে গ্রেড-১ দেয়ার চেষ্টা

জবি প্রতিনিধি |

আইন অমান্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অধ্যাপককে গ্রেড-১ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অন্য শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গ্রেড-১ পেতে শর্তাবলী হচ্ছে- অধ্যাপকদের মোট চাকরির মেয়াদ নূ্যনতম ২০ বছর এবং দ্বিতীয় গ্রেডের সর্বশেষ সীমায় পৌঁছানোর দুই বছর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম গ্রেড প্রাপ্ত হবেন। তবে এ সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অধ্যাপকের সংখ্যার ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪ জন অধ্যাপক গ্রেড-১ পদমর্যাদায় আছেন। আরও ১১টি পদ খালি আছে।

গত ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সভায় গ্রেড-১ পদমর্যাদার জন্য ১৩ শিক্ষক আবেদন করেন। এর মধ্যে দুই শিক্ষকের উল্লিখিত শর্ত না থাকায় তাদের আবেদন বাতিল হয়। এক অধ্যাপকের গ্রেড-১ পদমর্যাদা পেতে প্রথম শর্তটি পূরণ না হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল না করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে পরামর্শের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ডিন সভা সূত্রে জানা যায়, সভায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক জাকারিয়া মিয়া গ্রেড-১ পদমর্যাদায় আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও তিনি আবেদন করেন। সব ডিন এর বিরোধিতা করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান তাকে গ্রেড-১ সুবিধা দেওয়ার জন্য নানা যুক্তি দেখান। সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে কেউ নিয়োগ পেলে আগের চাকরিকাল থেকে ৫০ শতাংশ গণনা হবে। সে অনুযায়ী ৫ বছর ১০ মাস ১৮ দিন গণনা করা হয়। সবমিলিয়ে গ্রেড-১ পদমযার্দা পেতে তার যোগ্যতা চাকরিকাল ১৬ বছর ১ মাস ১৮ দিন। যা শর্তে উল্লিখিত চাকরিকাল থেকে অনেক কম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, পদোন্নতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর জানানো হবে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, পদোন্নতির বিষয়ে কোনো পরামর্শের জন্য চিঠি এলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডিরেক্টরের কাছে পাঠাব। তিনি বিষয়টি আইন-কানুন দেখে যাচাই করবেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028350353240967