ঘরের মাঠে ‘স্পোর্টিং উইকেটের’ যা কিছু সুবিধা তার সবটা বাংলাদেশই পেল। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস। বল হাতে হোম গ্রাউন্ডে এবাদতের আগুন ঝরানো পেস এবং নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে ধসে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১৮৩ রানে বিশাল জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব-হৃদয় ও মুশফিক-হৃদয়ের জুটিতে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালো ছিল না। ওপেনার তামিম (৩) শুরুতে ফিরে যান। টপ অর্ডারের লিটন দাস (২৫) ও নাজমুল শান্ত (২৬) সেট হয়ে ফিরে যান।
সেখান থেকে ১২৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও হৃদয়। ফিরে যাওয়ার আগে সাকিব খেলেন ৮৯ বলে নয়টি চারের শটে ৯৩ রানের ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাত হাজার রানের কীর্তি গড়েন তিনি। বুঝিয়ে দেন বিজ্ঞাপন চিত্রের শ্যুটিং, পণ্যের দূতিয়ালিসহ ‘ফিতা কাটার’ হাজারটা অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মাঠে তিনি নির্ভার। মাঠে সমালোচনা-বিতর্ক তাকে বিচলিত করে না।
তার সঙ্গে জুটি গড়া অভিষিক্ত হৃদয় ফিরে যান ৮৫ বলে ৯২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে। আটটি চার ও দুই ছক্কা মারা এই তরুণ সেঞ্চুরি মিস করেন। এছাড়া মুশফিক ২৬ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কা তুলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তোলে বাংলাদেশ। ভেঙে দেয় গত বিশ্বকাপে অজিদের বিপক্ষে করা ৩৩০ রানের ইনিংসের রেকর্ড।
জবাব দিতে নেমে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি দিয়ে স্টেফেন দোহানি ফিরে যান। তিনি ৩৪ রান করেন। তাকে তুলে নেন সাকিব। এরপর নাসুমের ঘূর্ণি ও এবাদতের পেসে থমকে যায় সফরকারীরা। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন জর্জ ডকরেল। পল র্স্টালিং ২২ রান করে ফিরে যান। বাংলাদেশের হয়ে এবাদত ৬.৫ ওভারে ৪২ রান দিলেও চার উইকেট তুলে নেন। নাসুম আহমেদ নেন তিনটি উইকেট। ৬ ওভারে ১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।