বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে তখন, যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে উল্টে দিয়ে নিজে নিজেরাই নির্বাচন করছে। এখন সরকারি চাকরি করতে হলে আপনাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হতে হবে। তা না হলে এখন কোনো চাকরি হয়না।
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে সাধারণ মানুষ এতোটা মামলার স্বীকার হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের উপরে গায়েবী মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখছে। মানুষ এখন নিরাপদে থাকতে পারে না। কোনো ঘটনা ঘটলে, কোনো কিছু হলেই সেটা নাকি বিএনপি করেছে। এভাবে তারা নিজেদের দোষ আমাদের কাঁধে চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশকে বর্তমানে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকারের অধীনে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন আশা করা যায় না। আওয়ামী লীগের দাপটে বর্তমানে কথা বলা যায় না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে, তারা শুধু তাদেরই গল্প বানায়। ভালো মিডিয়ার সাংবাদিকরা দুর্নীতির কথা তুলে ধরলে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের সময়ে বিদ্যুতের দাম ছিল প্রায় ৩ টাকা, যা এখন ৭ টাকা। চালের দাম ছিলো ১৪ টাকা, যা এখন প্রায় ৭০ টাকা। এমনিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে সরকার বাড়াচ্ছে জনগণ চিন্তিত। আজকে ডাক্তার আছে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, অ্যাম্বুলেন্স আছে তেল নেই, ছাত্রছাত্রী আছে কিন্তু সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। সরকার প্রতিটি খাতে লুটপাট করে খাচ্ছে। উন্নয়নের নামে তারা চুরি করছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হবে। বসে থাকার মতো বা চুপ করে থাকার মতো সময় আর নেই। রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে, সবকিছু দিয়ে এই ভোট চোর সরকারকে নামাতে হবে তা না হলে দেশ রসাতলে যেতে আর বেশি দেরি লাগবে না। জনগণ যাকে চায় তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে থাকার সুযোগ দেয়া হোক।