প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে? কী অপরাধে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে? বিএনপি কেনো এক দফার কথা বলছে? যারা স্বজনহারা তাদের জবাব কী খালেদা জিয়া দিতে পারবেন?
দেশকে ফের অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতেই বিএনপি সরকারের উৎখাত চায় বলে জানিয়ে, তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায়নি। এখন কেনো আন্দোলন করছে? যারা জনগণের ভোটচুরি করে পদত্যাগ করে, তারা কোন মুখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে?
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে সরকারে আসে বিএনপি। আওয়ামী লীগের দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার লোভ নেই। আওয়ামী লীগের ভোটচুরি করা লাগে না, জনগণই ভোট দেয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সুযোগ থাকার পরও বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করেনি। এখন তারা কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে? ভোটচুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না, খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ।
২০০১ থেকে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট-দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে কী দিতে পেরেছে? বিএনপির অত্যাচারের শিকার হয়েছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষ। দেশের সর্বনাশ ছাড়া বিএনপি দেশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি, করবেও না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো অন্ধকার যুগে ফেরাতে চায় বিএনপি। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তাদের মুখে এখন নীতির কথা শুনতে হয়! বিএনপির পক্ষে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই। কারণ, লুটেরাদের পক্ষে কেউ থাকে না।
ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ প্রতিশোধের রাজনীতি করেনি দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপির মতো অত্যাচারের পথে হাঁটেনি আওয়ামী লীগ। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আলামত পর্যন্ত রাখতে দেয়নি তারা। এখনো বিএনপির নেতারা আমাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। কেন এমন করা হচ্ছে, এর জবাব বিএনপির কাছে চাইতে হবে।
টানা তিন মেয়াদের সাড়ে ১৪ বছরে দেশ ও জাতির কল্যাণে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ধাপে ধাপে দেশকে উন্নত করেছে। বিএনপির মতো দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যায়নি।
শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্বদ্বার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ দেশের সমসাময়িক রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক এবং দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস এবং ২৭ নভেম্বর ডা. মিলন দিবসে দলীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।