রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে নগরীর রানীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিদেশী পিস্তল, শটগান ও গুলিসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এনিয়ে থানায় পৃথক দুু’টি মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন (৫৬) ও মো. সজল আলী (২৪)। মুরাদ জামিল নগরীর উপশহর এলাকার মৃত আ. ওহাবের ছেলে এবং সজল চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনীর সামসুল হকের ছেলে। মুরাদ প্রাইম ব্যাংকের সাবেক পরিচালক। গ্রেফতারকৃতদের কাছে থেকে ৩টি ম্যাগজিন, ৩২ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ৯০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি শটগান এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টায় ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে গোলাগুলির খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ নগরীর রানীবাজারের আতিকুর রহমান কালুর বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। কালু বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার। সেখান থেকে পুলিশ আসামিদের ফায়ার করা গুলির খোসা জব্দ করে। পুলিশকে স্থানীয়রা জানায়, দু’জন মানুষ গুলি করে প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
পরবর্তীতে রাত পৌনে ৩ টায় হোসনীগঞ্জ জাদুঘরের সামনে একটি কালো রংয়ের কার দেখে চেকপোস্ট পার্টি কারটি থামানোর জন্য সংকেত দেয়। কিন্তু আসামিরা চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি করে দ্রুত গতিতে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই কালো রংয়ের গাড়িটকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ঐ টিম। পরবর্তিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেয়া তথ্য মতে, উপশহর এলাকায় তল্লাশী শুরু করে ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ১৭৭ নম্বর বাসার গ্রাউন্ড ফ্লোরে পার্কিং অবস্থায় গাড়িটি পাওয়া যায়। বাড়িটির গার্ডের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে কিছুক্ষণ আগে মালিক ও তার সহযোগী কারটি পার্কিং করেছে।
পরবর্তীতে পুলিশের সেই বাড়ির ৪র্থ তলায় প্রবেশ করে আসামি লিংকন ও সজলকে আটক করে। এরপর বাড়িটি তল্লাশী করে ৩টি ম্যাগজিন, ৩২ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৯০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি শটগান উদ্ধার করে। এসময় প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আতিকুর রহমান কালুর ছেলে রেদওয়ানুর রহমান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।