আওয়ামী লীগ নেত্রীর উসকানিতে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে অস্থিরতা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের শিক্ষিকা ডেইজির উসকানিতে কলেজটির কয়েকজন ছাত্রী সাজানো বিক্ষোভ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক ও কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে ১০/১৫ ছাত্রীকে দিয়ে ঝটিকা মিছিল করানো হয়। তারা মূলত কয়েকজন আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকের কোচিয়ের ছাত্রী।  পরে সাধারণ ছাত্রীরা নেমে এলে তারা পালিয়ে যায়। ফরমায়েশি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য কয়েকজন সংবাদ কর্মীকেও নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। 

ছাত্রীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ডেইজি ছিলেন পলাতক মেয়র তাপসের বান্ধবী কিন্তু পাঁচ আগস্টের পর রাতারাতি এলাকার কৃষকদলের কয়েকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কলেজের নিয়মিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জট পাকায়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত কলেজটির সভাপতি ছিলেন পলাতক মেয়র তাপস। ডেইজি ও অপরাপর সঙ্গীরা বহিরাগতদের এনে কলেজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা চালান। কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ভুয়া অভিযোগ তোলানো হয় ছাত্রীদের দিয়ে। ছাত্রীদের ঐতিহ্যবাহী কলেজটিতে চরম অস্থিরতা তৈরির পেছনে ডেইজি এবং কৃষকদলের কয়েকজনের উসকানির অভিযোগ প্রমাণিত।

এমন প্রেক্ষাপটে কয়েকজন ছাত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একজন সভাপতি মনোনয়ন দিয়ে কলেজটির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আবেদন জানান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজটির সভাপতি মনোনয়ন করা হয় কলেজটিরই সাবেক একজন অধ্যক্ষকে। নতুন সভাপতিকে পেয়ে কলেজের সব শিক্ষক, ছাত্রী ও অভিভাবকরা খুশী হলেও কৃষকদলের কয়েকজন নেতা খুশী হতে পারেননি। তাদের শিক্ষা ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ভয়ে  ডেইজির সঙ্গে আঁতাত করে কয়েকজন ছাত্রীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা বলেন,  সভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এটা মানি না। যাকে নিয়োগ দিয়েছে তাকে যদি সিটি করপোরেশনই নিয়োগ দেয় তাহলে আমাদের তাকে নিয়ে কোন আপত্তি নেই। যেই সভাপতি হিসেবে আসুক সিটি করপোরেশনের মধ্যে আসুক।

ফাইন্যান্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার সুমি বলেন, নতুন সভাপতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও আমাদের কলেজের সাবেক সফল সভাপতি স্যারকে স্বাগত জানাই। মাত্র কয়েকজন ছাত্রী না বুঝে আন্দোলন করছেন।  ডেইজি ম্যাডামসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের চামচাকে বরখাস্ত করা হলে কলেজটির পরিবেশ ুসুন্দর হবে বলে মনে করে অধিকাংশ ছাত্রী। 

জানতে চাইলে মহানগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন বলেন,  আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন কেউ কেউ। লাইব্রেরির টাকা ফাণ্ডে পড়ে আছে। সেটা গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নিয়ে বই ক্রয় করার জন্য বাজেট হবে; টাকা উত্তোলন কমিটি হবে সেটা তো অনেক পরের কথা। সাধারণ তহবিলের টাকা তো সাধারণ কারো উত্তোলন করার সুযোগ নেই সভাপতি ছাড়া।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062780380249023