কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি থেকে সরে এবার নতুন গাড়ি কেনার বাজেট বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার (৩১ জুলাই) অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে সরকারের কর্মকর্তারা আগের থেকে এখন বেশি দামি গাড়িতে চড়তে পারবেন। মূলত ডলারের তুলনায় বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়ন হওয়া এবং বিশ্ববাজারে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, আগে গাড়িবাবদ সর্বোচ্চ ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এখন তা বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর ও পরিদফতরের গ্রেড ১ ও ২ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই গাড়িতে চড়তে পারবেন।
গ্রেড ৩ বা তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য আগে ছিল সর্বোচ্চ ৫৭ লাখ টাকার গাড়ি। নতুন প্রজ্ঞাপনে তা বাড়িয়ে ৬৫ লাখ টাকা দামের গাড়ির কথা বলা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সরকারি অন্যান্য যানবাহন কেনার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। দেখা গেছে, ৪৪ লাখ টাকার মাইক্রোবাসের বরাদ্দ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে। একইভাবে ৩৫ লাখ টাকার প্রাইভেট কারের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪৫ লাখ টাকা, ৪৪ লাখ টাকার অ্যাম্বুলেন্সের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫৪ লাখ টাকা, ৬৯ লাখ টাকার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) কোস্টার বা মিনিবাস বাবদ বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭৫ লাখ টাকা, ৪২ লাখ ২৯ হাজার টাকার নন-এসি বড় বাসের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪৬ লাখ টাকা, ২৮ লাখ টাকার সিঙ্গেল কেবিন পিকআপের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩৮ লাখ টাকা এবং ৪৯ লাখ টাকার ডাবল কেবিন পিকআপের ক্ষেত্রে ৫৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে নন-এসি মিনিবাস ৩২ লাখ টাকা, ৫ টনের ট্রাক ৩৯ লাখ টাকা, ৩ টনের ট্রাক ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং মোটরসাইকেল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির কার, জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার মিনিবাস (এসি ও নন-এসি) ও ট্রাকের বাজারদর বিবেচনা করে যানবাহনের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যানবাহন কেনার অনুমতি বা বরাদ্দ দেয়ার সময় এই মূল্য অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।