রাজধানীর আদাবরে বন্ধ ফ্ল্যাটের বন্ধ কক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম শিহাবুল ইসলাম খান শিহাব (২২)। তিনি বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ আদাবরের শেখেরটেকের প্রমিনেন্ট হাউজিংয়ের ২৪/৩ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে শিহাবের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকান্ড নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ধারনা করছে শিহাবের ঘনিষ্ঠ কেউ এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে।
আদাবর থানার এসআই রঞ্জিত সরকার জানান, শিহাবের বাবা সিরাজুল ইসলাম খান বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা। ২/৩ দিন আগে সিরাজুল ইসলাম তার ছেলেকে বাসায় রেখে তিনি, তার স্ত্রী ও অপর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন। তারা ফ্ল্যাটে প্রবেশের পর দেখতে পান যে শিহাবের কক্ষ বন্ধ এবং তার কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসছে। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঐ বাসায় গিয়ে শিহাবের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, শিহাবের লাশ তার কক্ষের মেঝেতে পড়ে ছিল। মৃতদেহের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া দুই হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, ২/৩ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। একারনে লাশ কিছুটা পচে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, লাশের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটা হত্যাকান্ড। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য জানা যায়নি। ঘাতক চিহ্নিত করতে পুলিশ সব ধরনের প্রযুক্তিগত পদ্ধতি অনুসরণ করছে।
এদিকে পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকতা বলেন, এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ঘাতক দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে। ঘাতকরা এ পরিবারে পরিচত এবং ঘনিষ্ঠ বলেই ধারনা করা হচ্ছে। কারণ ঘাতকরা হত্যাকান্ড ঘটালেও বাসায় কোন ধরনের লুটতরাজ করেনি। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, শিহাব নেশাসক্ত ছিল কিনা, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার নিয়মিত ঝগড়া বিবাদ হতো কিনা সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের কেউ ঘাতক কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।