ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির আবেদনপত্রে কোনো ধরনের নথি বা ছবি সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, এতে করে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বিষয়টি সহজ করা হবে। আধুনিক যুগে এসেও সত্যায়ন প্রক্রিয়া থাকা যৌক্তিক নয়।
রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বর্তমান যুগে সত্যায়ন প্রক্রিয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুবই চমৎকার প্রশ্ন। এটা আমারও কথা। আমরা ছাত্রজীবনেও দেখেছি একটা সিল মেরে দিলেই হলো! যদিও আমারটা অরিজিনালই আছে!
তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গর্ভনমেন্টস বা সরকার ব্যবস্থা। বিষয়টি আমাদের মাথার মধ্যে আছে। আপনারা কিছু দিনেই দেখবেন, এগুলো সবই ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে এবং এটার (সত্যায়ন) কোনো প্রয়োজন হবে না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, আমরা যত দ্রুত পারি এটার বিষয়ে কাজ করে সহজীকরণ করে দেবো যাতে কারো ভোগান্তি না থাকে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন আধুনিক যুগ। যে কেউ চাইলেই বিভিন্ন রোল নাম্বার বা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ফলাফল জানতে পারে। আধুনিক যুগ এসেও সত্যায়ন প্রক্রিয়া থাকা যৌক্তিক নয়। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন যে সত্যায়িত করতে গিয়ে কর্মকর্তারা বিরক্তি প্রকাশ করেন। চাকরি প্রার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন। নিজেই সিল মেরে সত্যায়িত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমারও কথা। আমরা ছাত্রজীবনেও দেখেছি। আমারটা অর্জিনালি আছে। একটা সিল দিয়ে মেরে দিলে তো হলো! এই যে ডিজিটালাইজেশনের যুগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন আমরা পরিবর্তনগুলো করছি। আমাদের কিন্তু এখন বিগ ডাটা, ভোটার আইডিতে এগুলো সব থেকে যাবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেন, সেখানে কিন্তু আপানার সার্টিফিকেটগুলো, কোথায় কোথায় লেখাপড়া করেছেন, মেইন সার্টিফিকেটগুলো চলে আসবে। আপনি চাইলে অনেক ডাটা দেখে নিতে পারছেন।
খুব শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা যখন এটা করবো, তখন কোনো মানুষের একটা কোড নাম্বার থাকবে। সেই কোডটা দিলে কিন্তু অরিজিনাল কিনা আপনি দেখে নিতে পারছেন। সেক্ষেত্রে, আমার মনে হয় এটা অল্প দিনের মধ্যেই ডিজিটাল বেজড, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা কাজ সহজ হয়ে যাবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গর্ভনমেন্টস বা সরকার ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমাদের যে বিষয়টি আছে এগুলো আমাদের মাথার মধ্যে আছে। আপনারা কিছু দিন পর দেখবেন এগুলো সবই ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে এবং এটার কোনো প্রয়োজন হবে না। আমি কথা দিচ্ছি, আমরা যত দ্রুত পারি এটার বিষয়ে কাজ করে সহজীকরণ করে দেব, যাতে কারো ভোগান্তি না থাকে।