শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যান্ত্রিক ও প্রাণহীন শিক্ষার বদলে আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বুধবার (৮ মে) বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যা কিছু ভালো এ দুইয়ের সম্মিলনে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে গড়ে তোলা হবে। যে পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে যথার্থ ভূমিকা রাখে সে রকম পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, একটি মানবিক সমাজ গড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন মিলিত বাঙালির। তাই হিন্দু-মুসলমানের মিলনে তিনি ছিলেন পরম আশাবাদী।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক সানজিদা খাতুন। রবীন্দ্রনাথ স্মারক বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক।
প্রফেসর আনিসুজ্জান বলেন, রবীন্দ্রনাথ একই সাথে বাঙালি, ভারতীয় ও বিশ্ব নাগরিক। তিনি প্রথম দিকে জাতীয়তাবাদের সমর্থক হলেও পরে তিনি বিশ্ববাদের সমর্থক হয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের মানবিক বিশ্বে সকলের অধিকার রয়েছে।
সানজিদা খাতুন বলেন, রবীন্দ্রনাথের মানবিকতা বোধের কারণে তার প্রতি আমাদের বিশেষ আকর্ষণ। তিনি দেখিয়েছেন যে প্রেম সবার উপর। এই প্রেম মানবিকতার প্রেম। প্রাণের প্রেম।