কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে, এ জন্য ফেসবুক দায়ী। বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করেই শিক্ষার্থীরা যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।
তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে শিক্ষার্থীদের সহিংস পথ বেছে না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, আবেগের প্রকাশ যেন বিবেকের সঙ্গে করা হয়। কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে সরকার পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করলেও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কথা শুনছে না।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের ডেটা সেন্টারটা যদি বাংলাদেশে থাকত, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কনটেন্ট যেগুলো গুজব ছড়ায় সেগুলো প্রতিহত করা কিংবা সেই কনটেন্টটাকে ফ্ল্যাগ দিয়ে দেয়া বা ব্লক করে দেয়া সহজ হত। কিন্তু তারা শুধু বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থটাই উদ্ধার করছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সামাজিক শৃঙ্খলা ও ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে তারা কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ দেখাচ্ছে না।