দ্বিতীয় দিনে চার দফা দাবিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে থেকে তাদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে টিএসসি থেকে মুখে কালো কাপড় পরে একটি প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ থানার সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের বাধা দেয়। পরে আরও একটি বাসে করে এসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরতদের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করে জানান, গতকালের (সোমবার) পর আজ আমাদের আন্দোলন থেকে ৮-৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো— ৫০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে; পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে; ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয় এবং পরীক্ষা থেকে আইসিটি সাবজেক্ট বাদ দেওয়া।
আটকের বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
শিক্ষার্থী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশার (ডিসি) আশরাফ হোসেন বলেন, এরা শিক্ষার্থী কি না এ বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ আছে। গতকাল কয়েকজনকে জিজ্ঞেসা করলে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। তাদের আগামী ১৭ তারিখ পরীক্ষা অথচ মাত্র কয়েকদিন আগে তারা পরীক্ষা পেছানো ও ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। এটা অযৌক্তিক।
তিনি বলেন, আজও তারা রাস্তায় নেমেছে। এসময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। কয়েকজনকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয় এখনই বিস্তারিত বলা যাবে না।