প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদকে ওএসডি করা হয়েছে। কলোনী যুগের মানসিকতা নিয়ে তিনি অধিদপ্তরে কাজ শুরু করেছিলেন। সহকর্মীদের অনেকের সঙ্গেই তিনি অমানুষের মতো আচরণ করতেন বলে অভিযোগ ছিলো।
এক পর্যায়ে অধিদপ্তরের স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহাপরিচালককে প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তখন থেকেই পালিয়ে থাকেন মহাপরিচালক। বিঘ্ন ঘটে দৈনন্দিন কাজে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিতর্কিত এই ডিজিকে অপসারণের দাবিতে ১৪তম দিনের মতো অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ডিজিকে অপসারণ করা না হলে আজ বুধবার থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা। তবে এর মধ্যেই তাকে ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন আসে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা জানান, বিগত সরকারের আমলে জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করেন বর্তমান মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ। যোগদানের পর থেকেই তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও আওয়ামীপ্রীতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। তার নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবন্ধ হয়ে মহাপরিচালকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছেন।
ডিজির বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলেন, যোগদানের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা তার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। সরকার পতনের ১৫ দিন পর তিনি অফিস করা শুরু করেন। এরপর তার পছন্দের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে গোপনে সব কার্যক্রম পরিচালনা করেন।