‘কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালসহ সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়ে একটাই নিউজ দেখা যাচ্ছে। এত লাল-নীল-হলুদ রং-ঢং দিয়ে সাংবাদিকতা করা উচিত নয়।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশী শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এমন মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়ে শশী আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর, ভিসি-প্রভিসি আপনারা তো সবাই আছেন। আপনারা এসব নিয়ে কথা বলছেন না কেন? আপনারা যদি আমাদের পাশে না থাকেন, তাহলে আপনাদের আওয়ামী পরিষদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়াটাই তো শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত।’
ছাত্রলীগ নেত্রী শশীর এই লাইভ বক্তব্য দ্রুত ভাইরাল হয়। পরে তিনি সেটি সরিয়ে নেন। লাইভে শশী আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা যেভাবে আমাদের পেছনে লেগেছে, এখন হাঁটতেও ভয় লাগে। একটা যে লিপস্টিক দেব, সেটা দিতেও ভয় হয়। লিপস্টিক দিলেও বলবেন, এই নেত্রীর টাকার উৎস কোথায়। তার মানে কি আমার মা-বাবা নাই। একটা লিপস্টিক কিনে দেওয়ার ক্ষমতা আমার পিতা-মাতার নাই। লিপস্টিক বেশি দিলে আবার ব্র্যান্ড খুঁজবেন। সাংবাদিকরা কখন কী নিউজ করে দেয়, এ ভয়ে মানুষের সঙ্গে একটু জোরে কথা পর্যন্ত বলি না।’ এ ব্যাপারে ফারজানা শশীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্বী পড়াশোনা শেষ করার ছয় মাস পরও হলে থাকায় তাঁকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। পরদিন দুপুরে উল্টো হলগেটে তালা দেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনায় ‘সিট ছাড়তে বলায় হলগেটে ছাত্রলীগ নেত্রীর তালা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে অন্য সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ফারজানা শশী লাইভে এসে সাংবাদিকদের নিয়ে কথা বলেন।