আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশকে দখলমুক্ত করার লড়াই দীর্ঘ সময়ের বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, শহীদ আবরার আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের পথিকৃৎ আবরার ফাহাদ। আবরার আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে আপোষহীনভাবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং দেশকে দখলমুক্ত করার এই লড়াই দীর্ঘ।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে আবরারের শাহাদাতের খবর পেয়ে মাত্র ২ ঘণ্টায় প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটা আয়োজন করেছিলাম। 'দিল্লি না ঢাকা' শ্লোগানে বৃষ্টিতে ভিজে সেদিন মিছিল হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা আবরারকে কখনও ভুলিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে তাকে স্মরণ করতে গিয়ে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও পরে ঢামেক থেকে গ্রেপ্তার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী ছিলাম আমরা ২৪ জন। এখন আবরারকে স্মরণ করলে আর হামলা কিংবা গ্রেপ্তার হতে হবে না, সে সময় আর এই সময়ের মধ্যে পার্থক্য এতটুকুই।
ভারত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নৃশংস নির্যাতনে খুন হওয়া আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (৭ অক্টোবর) পুনর্নির্মিত হচ্ছে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ। এর আগে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে পলাশী মোড়ে আগ্রাসন বিরোধী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সে স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে লেখা হয় ‘অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে’। আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলেও ওই উক্তি ব্যবহার করেছিলেন।
সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা— এই আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে আটটি স্তম্ভ বানানো হয়েছিল। তবে নির্মাণের পরদিনই সেটি ভেঙে ফেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।