বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) নৃশংসভাবে হত্যা করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র। খুনিদের পরিচয়—তারা প্রায় প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। আবরারকে যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তা দেখলে যে কোনো ব্যক্তিরই হূদয় কেঁপে না উঠে পারবে না। যারা আবরারকে হত্যা করেছে তারাও নিশ্চয় মেধাবী ছাত্র; কিন্তু কীভাবে এই ছেলেরা মায়ামমতা, মনুষ্যত্ব, মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে দানব সমতুল্য হলো! ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছিল—খুনিরা এক ব্যক্তিকে পাশবিক কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করার মহোত্সবে মেতে উঠেছিল। আবরারের করুণ চিত্কার আর আহাজারি তাদের হূদয়কে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করেনি। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
আবরারকে কেন হত্যা করা হলো? কী তার অপরাধ? জানা যায়, তাকে শিবির সন্দেহে নির্যাতন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নানা মত, নানা আদর্শ ও ভিন্ন মত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় তো প্রচলিত বিধিবিধানের মধ্যে মুক্ত চিন্তা চর্চারই জায়গা। শিবির তো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন নয়। তাদেরকে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কৌশলে মোকাবিলা করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন হলেও তাদেরকে নির্যাতন করা ছাত্রদের কাজ নয়। তারা তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে দিতে পারে।
ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা, যারা মেধাবীও বটে, তাদের কেন এত অধঃপতন। ছাত্রলীগের অতীত গৌরবময় ইতিহাস আছে। স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলন, ঔপনিবেশিক শাসকদের অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান—সর্বোপরি বাঙালির স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ তথা ছাত্রসমাজের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আজও সচেতন মহল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনেও এ দেশের ছাত্রসমাজের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেই ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ রকম জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তা খুবই দুঃখজনক।
এ নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনার পর অনেক বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজবিশ্লেষক নানাভাবে ঘটনার দায়দায়িত্ব বিশ্লেষণ করছে। একটি খ্যাতিমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এমন অধঃপতনের কারণ কী, এর দায়িত্ব কার, কীভাবে মেধাবী ছাত্ররা দানবে পরিণত হলো—এসব প্রশ্ন এখন সবার। এর সরল ও এক কথার উত্তর নষ্ট রাজনীতি। অর্থাত্ যে রাজনীতি একটি ব্যক্তিকে মানুষ করার পরিবর্তে অমানুষ করে তোলে।
ছাত্রসংগঠনকে মূল রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন বলা হলেও তারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে মূল রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারাই। সহযোগী সংগঠনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মূলত মূল রাজনৈতিক দলেরই ওপর থাকে। যেহেতু সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দমূল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আশীর্বাদ বা সমর্থনে নিয়োগ পায়, সেহেতু এই সংগঠনের কর্মকাণ্ডের দায়দায়িত্ব সহযোগী ও মূল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ একেবারে এড়াতে পারেন না। আসলে সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ড তদারক বা মনিটরিং কিংবা তাদের সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়ার তেমন কোনো পদ্ধতি, কৌশল ও তত্পরতা মূল রাজনৈতিক সংগঠনে অনুপস্থিত।
যার ফলে তাদের কারো কাছে জবাবদিহিতা তেমন একটা নেই। আস্তে আস্তে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রত্যেক সরকারের আমলেই সরকারি দলের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। বিএনপি আমলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের দখলে ছিল। ক্যাম্পাসে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রলীগ হলে ঢুকতে পারত না। কোনো কোনো হলে কিছু থাকলেও একেবারে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হতো।
মাঝে মধ্যে তাদের ওপর নির্যাতনও হতো। আহত-নিহত হওয়ার ঘটনাও আছে। একই ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রলীগ আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করে। ছাত্ররাজনীতির এ অধঃপতনের কারণ যদি খুঁজি তাহলে আমাদেরকে তাকাতে হবে জিয়া ও এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের শাসনের দিকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকাররা নিজেদের অবৈধ শাসনকে পাকাপোক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি এবং নীতি ও আদর্শ বিসর্জনকারী সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে নিয়ে লোভ-লালসার মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করে। সামরিক শাসকরা ছাত্ররাজনীতিকেও কলুষিত করে।
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের বেপরোয়া হওয়ার পেছনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশকারার বিষয়টি আগ্রাহ্য করা যায় না। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সমীহ করে চলে। এমনকি আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ, টেন্ডার গ্রহণ ও প্রশাসনিক পদে নিয়োগে সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সক্রিয় হস্তক্ষেপ থাকে।
বরাদ্দ ছাড়াও তারা নিজেদের অনুগতদের আবাসন দিয়ে নিজেদের বলয় শক্তিশালী করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কেন এত তোয়াজ করেন? কেন তাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারেন না? কেন তাদের কুকর্ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না? কেন র্যাগিংয়ের মাধ্যমে ছাত্রদের নির্যাতনের ঘটনা জেনেও না জানার ভান করেন? এসব প্রশ্নের জবাব একটাই, সেটা হলো নিজের অবস্থান ধরে রাখা এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো অবস্থানে যাওয়ার আশা। সম্পূর্ণ আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
লোকে বলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা শিক্ষক হতে হলে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের সমর্থন ও তাদের তদবির লাগে। অঙ্গসংগঠন প্রত্যয়ন করে কে সরকারি দলের আদর্শের এবং কে ভিন্ন মতের। তাই ভিসি হওয়ার প্রত্যাশী শিক্ষকেরা ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে তদবির করেন এবং তাদের নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। এতে ঐ সংগঠনের ছাত্ররা নিজদের অনেক ক্ষমতাসীন মনে করেন। তারা স্থানীয় থানার পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলেন। সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের সদস্য হওয়ায় থানার পুলিশও তাদের প্রতি নমনীয় থাকে।
সব ক্ষেত্রেই মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র মর্মান্তিক ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও ভাইস চ্যান্সেলর মৃতদেহের কাছেও আসেন না। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন না। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শোক প্রকাশ করেন না। বিচার চান না। এটা কোনো যুক্তিতেই মানা যায় না। তিনি বললেন, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মন্ত্রীকে সবকিছু জানিয়েছেন। তাই মৃতদেহের কাছে আসতে পারেননি।
সত্যিই হাস্যকর ব্যাখ্যা। তার অবশ্য কর্তব্য ছিল সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলম্ব না করে ঘটনাস্থলে আসা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই সুরে খুনিদের কঠোর সাজা চাওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কারের আশ্বাস দেওয়া। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এসব কিছুই তিনি করেননি। তার কথা ও আচরণে দুর্বল প্রশাসনিক কর্মকর্তার লক্ষণ ও দায়িত্বহীনতার স্বাক্ষর প্রস্ফুটিত হয়েছে। এটা দুঃখজনক এবং শিক্ষক হিসেবে লজ্জার বিষয়। যদিও তিনি পরে যথাসময়ে না আসার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
সাধারণ ছাত্র এবং কোনো কোনো মহল থেকে দাবি উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নেই। ইচ্ছে করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইতোমধ্যে বুয়েটে শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট শিক্ষকেরাই ছাত্রদের অপকর্মে সায় দিয়ে তাদের বিপথে নিয়ে যান।
কিন্তু আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতির গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা আছে। সেই ছাত্ররাজনীতি আজ একশ্রেণির ছাত্র, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভ্রান্তনীতি, আত্মকেন্দ্রিক প্রবণতা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের অভাবে কলুষিত হয়ে পড়েছে। ছাত্ররাজনীতির আদর্শিক স্থান দখল করেছে বাণিজ্য। ছাত্ররাজনীতির প্রতি সাধারণ ছাত্র এবং বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিবর্গেরও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হয়েছে।
মূল রাজনীতি ও ছাত্ররাজনীতির সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কিন্তু জাতীয়ভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে কোনো সুফল আসবে, তার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। বরং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিষিদ্ধ না করে সংস্কার প্রয়োজন। ছাত্ররাজনীতিতে যারা যোগদান করবে, তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা, কর্তব্য সম্পাদন নীতিমালা, প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকা আবশ্যক।
ভবিষ্যত্ নেতৃত্ব তৈরি করার লক্ষ্যে তাদের দেশের ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্র ও সরকার, বহিঃবিশ্বের গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাসহ দেশের ও বিশ্বের সফল খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক, সমাজ সংস্কারকদের জীবনবৃত্তান্ত সম্বন্ধে জ্ঞান লাভের জন্য প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তোলা অপরিহার্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি উন্নত দেশে ছাত্ররাজনীতি আছে।
কিন্তু তারা কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাডার হিসেবে ব্যবহূত হয় না। রাজনৈতিক দলের Affiliated হলেও তারা ইস্যুভিত্তিক যেমন শিক্ষার্থীদের সমস্যা, দাবি-দাওয়া, সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ, নাগরিকদের সিভিল রাইট বা মানবাধিকার, গণতন্ত্র, শ্রমিক-কৃষকের ন্যায্য দাবি, সন্ত্রাস-জঙ্গি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ন্যায্য দাবি-দাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম বা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
আবরার হত্যার দায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র ও সাহায্যকারী ছাত্রদের, যারা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ করেছে। পাশাপাশি ভ্রান্ত রাজনীতি বা রাজনীতির অপসংস্কৃতি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা এবং সর্বোপরি বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদেরও দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনকে এ দায় থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের নিষ্ক্রিয়তা, দুর্বলতা ও প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী ধারাবাহিকভাবে অপরাধ ও সন্ত্রাসমূলক ঘটনা ঘটিয়ে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কঠোর হতো এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তত্পর হয়ে ছাত্রদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে সক্রিয় হলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না বা পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। তিনি নিজ দল থেকেই করেছেন। অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই সর্বমহলে সতর্কবার্তা চলে গেছে যে অপরাধ ও দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে আশার আলো দেখার প্রত্যাশা করছে।
লেখক : এ কে এম শহীদুল হক,সাবেক আইজিপি