সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত এক এমপির সংস্পর্শে আসায় তিনি সেলফ আইসোলেশনে গেছেন। এদিকে জনসন জানিয়েছেন, তিনি এনএইচএস টেস্ট করিয়েছেন। তবে তার দেহে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।
বৃহস্পতিবার অ্যাশফিল্ডের এমপি লি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ৩৫ মিনিট সময় কাটিয়েছেন জনসন। পরবর্তীতে লির দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জনসন। আগামী কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি করার কথা। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জনসনকে সেলফ আইসোলেশনে যেতে হলো।
ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে কি ধরনের বিধি-নিষেধ জারি হবে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন জনসন। সেটা তার সেলফ আইসোলেশনে যাওয়ার আগেই ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
কোভিড-১৯ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল জনসনের। এছাড়া চ্যান্সেলর রিশি সুনাকের সঙ্গেও তার কাজ করার কথা। রোববার রাতে এক টুইট বার্তায় জনসন বলেন, ‘আজ রাতে আমি এনএইচএস টেস্ট করিয়েছি। সুতরাং আমাকে অবশ্যই সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। কারণ ইতোমধ্যেই আমি এমন একজনের সংস্পর্শে ছিলাম যার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দেহে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে আমি সব ধরনের বিধি-নিষেধ অনুসরণ করছি। সরকারের মহামারি বিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি এখনও দায়িত্ব পালন করে যাব।’
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জনসন এখন ভালো আছেন এবং তার দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।