হিমালয়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত পঞ্চগড়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই শীত বেড়েছে। পর্যটকদের কাছে এই শীত উপভোগ্য হলেও ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এইদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও সকালে দ্রুতই কুয়াশার আড়ালে সূর্যের দেখা মিলছে। ফলে সকালে শীত অনুভূত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়ছে। তাই এখনো উত্তরের এই জেলায় জনজীবন স্বাভাবিক আছে। অন্যদিকে বিকেলের পর তাপমাত্রা কমতে থাকলে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হয় । সন্ধ্যার পর থেকে গরম কাপড় ছাড়া বাইরে চলাফেরা বেশ কষ্টদায়ক।
এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করেই নিজের কাজে যাচ্ছেন পাথরশ্রমিক, দিনমজুর, চা-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ। নবান্নের ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষানিরা। ভোরে শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার কৃষক মশিউর রহমান বলেন, শীত পড়ে গেছে। ভোরে খেতে ধনেপাতা, লাউ শাক, লাউ তুলতে গেলে গাছের পাতায় জমা শিশিরের স্পর্শে শরীর হিম হয়ে যায়। এতে হাত অবশ হয়ে আসে।
শুভ রায় নামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাড়তে থাকে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খুবই ঠান্ডা। মনে হচ্ছে পৌষ মাস। তবে সকাল ৯টার পর আর ঠান্ডা থাকে না।
তবে ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা জুবায়ের বলেন, রাজধানী ঢাকায় এখনো ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়। সেখানে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে শীত উপভোগ করছি আমরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা ও সমতলের চা-বাগান দেখার পাশাপাশি এই শীত দারুণ উপভোগ্য।